হায় রে মানুষ, রঙিন ফানুস/দম ফুরালেই ঠুস’, ‘জীবনের গল্প/আছে বাকি অল্প’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি/এই চোখ দুটি মাটি খেয়ো না‘, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’র মতো কালজয়ী গান বেজেছে তার কণ্ঠে। তবে চিরতরে থেমে গেছে লাখো মানুষের এই প্রিয়কণ্ঠ! এখন এন্ড্রু কিশোরের নিথর দেহ রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ (রামেক) ও হাসপাতালের হিমঘরে রাখা।প্রবাসে থাকা দুই সন্তানদের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে তাকে।
অস্ট্রেলিয়া থেকে মেয়ে এন্ড্রু সংজ্ঞা ও ছেলে এন্ড্রু সপ্তক ফেরার পরই খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল সংলগ্ন কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে দেশের চলচ্চিত্রের প্লে-ব্যাকের এই কিংবদন্তীকে।তার পরিবার সূত্র জানায়, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত ছেলে-মেয়েকে তাদের বাবার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। সংবাদ পেয়েই তারা দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশেষ ফ্লাইটের টিকিট পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। টিকিট পাওয়ামাত্রই জন্মদাতাকে শেষ বিদায় জানাতে দেশে ফিরবেন তারা।
এন্ড্রু কিশোরের বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের স্বামী ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর নিজেই বলে গেছেন তাকে যেন মায়ের পাশেই সমাহিত করা হয়। তার সেই ইচ্ছে পূরণেই রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল সংলগ্ন কবর স্থানে মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
তবে তাকে কখন দাফন করা হবে সে সময় এখনো নিশ্চিত করা হয়নি বলেও জানান তিনি।