করোনা সংক্রমণ রোধে আগামীকাল থেকে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হচ্ছে।লকডাউনের জন্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো টেলিফোনে বাসসকে জানান।তিনি জানান, লকডাউনের আওতাধীন ১৭টি রোডের মধ্যে ১৫টি রোড ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধু দুইটি রোড খোলা থাকবে।
যে দুটি রোড খোলা থাকবে এগুলো হলো- টিপু সুলতান রোডের র্যানকিন স্ট্রিটের দিকে এবং ফোল্ডার স্ট্রিটের হট কেকের পাশে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের দিকের রাস্তা।লকডাউন বাস্তবায়নে জনগণকে সচেতন করতে বিগত কয়েকদিন যাবৎ এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এখানে তিন শিফটে ১শ’ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।
এছাড়া করোনা টেস্টের জন্য দুইটি বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবেন এবং মুমূর্ষ রোগীদের জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সার্বক্ষণিক এম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে বলে তিনি জানান।৩০ জুলাই লকডাউন বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি বৈঠক শেষে নগর ভবনে ডিএসসিসি’র মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের জানান, ‘আগামী ৪ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর ওয়ারী এলাকা লকডাউন করা হবে। এসময় সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। তবে চলাচলের জন্য দুটি সড়ক খোলা থাকবে। এ সময় লকডাউন এলাকায় করোনা নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া অন্যান্য জরুরী সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’তিনি জানান, লকডাউন এলাকায় নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেটা দেয়া হবে। শুধুমাত্র ওষুধ, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রী ই-কমার্সের মাধ্যমে মিনাবাজার, স্বপ্নসহ অন্যান্যরা সরবরাহ করবে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। সেখানে করোনার নমুনা সংগ্রহ বুথ থাকবে।
তাছাড়া ডিএসসিসি’র মহানগর জেনারেল হাসপাতালকে কার্যকর করে আইসোলেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।ডিএসসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ারীর টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) এবং ইনার রোড হিসেবে লারমিনি রোড, হরে রোড, ওয়ার রোড, র্যানকিন রোড এবং নওয়াব রোড লকডাউনের আওতায় থাকবে বলে জানানো হয়।