পুরো নাম রাসেল মিয়া। ফেসবুক ও ইউটিউব খুললেই যার হাসি মাখা মুখটি আমাদের মাঝে ভেসে ওঠে তার নাম রাসেল মিয়া। খুব সাধারন একজন মানুষ।খুব সাধারন তার চলাফেরা।যার মনে কোন অহংকার নেই।
এক কথায় সাদা মনের একজন মানুষ আমাদের প্রিয় রাসেল মিয়া। যিনি তার কর্মদক্ষতার ফলে লাখো লাখো মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দিয়েছেন। কখনো বা আবার দুই টাকায় অসহায় মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন এক বেলা ভাত। সব বয়সের মানুষের প্রিয় নাম রাসেল মিয়া। যার অভিনীত ও পরিচালিত সকল ভিডিও সপরিবারে মানুষ দেখতে পারে এবং ভালো কিছু শিখতে পারে যার নাম” সংশোধন স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র”। দিনের পর দিন রাসেল মিয়া কঠোর পরিশ্রম করে তৈরি করেছেন সংশোধন চলচ্চিত্র ।
বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া যেমন-নিম্ম আয়ের শ্রমজীবি মানুষের সাথে অকারণে খারাপ আচরণ, পরকীয়া, এতিমের ঈদ, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, পথ শিশুদের জীবনী, নারী ও শিশু নির্যাতন, পুরুষ নির্যাতন, জুয়াড়ির জীবন, অর্থ লোভের কুফল, সংসারের জটিলতা, যৌতুক, বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ, ব্যাচেলর জীবনের বিড়ম্বনা, শিক্ষক, ছাত্র, মায়ের প্রতি সন্তানের অবিচার, ছবি ব্যবসা, ডাক্তার সেবা, মাদক, নামাজ, প্রবাসী জীবন, আইন, বিধবার জীবন, ন্যায্য বিচার, দালালি ও পোষাক নিয়ে আরও বহু ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন রাসেল মিয়া।
চলচ্চিত্রগুলোর মূল চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি রাসেল মিয়া কাহিনি সংলাপ রচনা ও পরিচালনায় অনেক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।রাসেল মিয়া খণ্ড খণ্ড প্রায় ১২০টি বিষয়ের ওপর নিজস্বতা রেখেই স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
এর পেছনে তার যুক্তি-শুধু অন্ন ও বস্ত্র দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেই যে মানুষ উপকৃত হবে, তা কিন্তু নয়। ভিডিও চিত্রের মাধ্যমেও মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব। এভাবেও সমাজ সেবায় এগিয়ে আসা যায়। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় রাসেল মিয়ার জন্ম। ছোটবেলায় চরম ঝোঁক ছিল মিডিয়া জগতে ঢোকার।
কিন্তু নানা ব্যস্ততায় তা পরিপূর্ণতা পায়নি। তিনি একনিষ্ঠ একজন মঞ্চকর্মী। সফলতার সঙ্গে দীর্ঘদিন নাটক নিয়ে থাকার পাশাপাশি পরিপূর্ণ বয়সে এসেই চিন্তা করলেন ভিডিও চিত্রেরমাধ্যমে সমাজে কিছু করা যায় কিনা। তাই দক্ষতার আলোকেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ থিম নিয়ে নির্মাণ করেন স্বল্প দৈর্ঘ্য সংশোধন চলচ্চিত্র ।লাইক, কমেন্টস,শেয়ার ও ভিউয়ারে এগিয়ে রয়েছে ‘সংশোধন’ স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
তথ্য ও অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ভিউয়ারে এগিয়ে রয়েছে রাসেল মিয়ার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সংশোধন।এরই মধ্যে ‘সংশোধন’ ১২০টি পর্বের মধ্যেই অধিকাংশ পর্বগুলো ভিউয়ারে কোটি ছাড়িয়ে গেছে। রাসেল মিয়া সকলের উদ্দেশে বলেন, এ পর্বগুলো আগে দেখতে হবে। এরপর যদি মনে হয়, ‘সংশোধন` স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো সমাজ সেবার লক্ষ্যে ন্যূনতম শিক্ষা ও আদর্শের খোঁজ দেবে, তাহলেই বাংলার মানুষ সচেতন হবে। এটাই রাসেল মিয়ার সার্থকতা।
অবশেষে মানবতার ফেরিওয়ালা রাসেল মিয়া ভালো থাকুক ও সুস্থ থাকুক এবং সংশোধন চলচ্চিত্র নির্মাণে এগিয়ে যাক। শুভকামনা রইল ভালোবাসা ও মানবতার ফেরিওয়ালা রাসেল মিয়ার জন্য।