করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজধানীতে আরেক সংবাদকর্মীর মৃত্যু হয়েছ।মারা যাওয়া এম মিজানুর রহমান খান দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার জ্যেষ্ঠ ফটো সাংবাদিক।আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা মিজানুরকে মৃত ঘোষণা
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬১৭ জন এবং মারা গেছে ১৬ জন।সুস্থ হয়েছে ২১৪ জন।আজ বুধবার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য
 চলতি বছরের শেষেই আমেরিকা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলবে বলে আগেই দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।তাঁর সেই দাবিকে বাস্তবায়িত করতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল মার্কিন বায়োটেক সংস্থা
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে করোনাআক্রান্ত দুই রোগীর শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্লাজমা প্রয়োগ করেছেন সেখানকার চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। আরেকজনের অবস্থা আগে থেকে খারাপ ছিল। তিনি এরই মধ্যে
খোলা জায়গায় জীবাণুনাশক ছড়ালে করোনাভাইরাস মরে না।উল্টে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতিকরতে পারে।শনিবার এই সতর্কবার্তা শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO।বিবৃতি দিয়ে হু জানিয়েছে, রাস্তা বা বাজার এলাকার মতো খোলা জায়গায় জীবাণুনাশক ছড়ালে বা স্প্রেকরলে ইটপাথর–ধুলোয় তার উপাদানগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।ফলে করোনাভাইরাসের কিছু হয় না।WHOআরও জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তির উপরেও জীবাণুনাশক ছড়ানো উচিত নয়।কারণ ক্লোরিন এবং বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান মানুষের চোখ এবং ত্বকের ক্ষতি করতেপারে।ক্ষতি করে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যেরও।তার উপর কোনও মানুষের উপরেজীবাণুনাশক প্রয়োগ করলে তাঁর সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতাও নষ্ট হয় না।বাড়ির ভিতরেওজীবাণুনাশক ছড়াতে নিষেধ করেছেWHO।কারণ তাতে কোনও লাভ হয় না বলে জানিয়েছেতারা
মহিলারা কি কোভিড ১৯–এ কম আক্রান্ত হচ্ছেন? মৃত্যুহারও কি কম? সম্প্রতি বেশ কিছুসমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে তামাম বিশ্বে আলোচনার ঝড় বইছে।মার্কিন মুলুকের খবর, নিউইয়র্কে করোনায় মৃতদের ৬১ শতাংশই পুরুষ! ইতালির পাবলিকহেলথ রিসার্চ এজেন্সির তথ্য বলছে, সেদেশেও কোভিডে মৃতের ৭০ শতাংশই পুরুষ! চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিসিডিসি)-এর রিপোর্টেওসেদেশে কোভিড সংক্রমণে পুরুষদের মৃত্যুহার ২.৮ শতাংশ। মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ১.৭শতাংশ। গ্লোবাল হেলথ ফিফটি ফিফটি জানাচ্ছে, ডেনমার্কে করোনা আক্রান্ত পুরুষেরমধ্যে ৫.৭ শতাংশের প্রাণহানি হয়েছে। অথচ সংক্রামিত মহিলাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র২.৭ শতাংশের। ফিফটি ফিফটি’র রিপোর্ট বলছে, স্পেন, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেনেরমতো দেশগুলিতে করোনায় মৃতের মধ্যে ৬০ শতাংশই পুরুষ! এবার দেখা যাক, মহিলা না পুরুষ, কারা সংক্রামিত হচ্ছেন বেশি? ডেনমার্কে মোটসংক্রামিতের ৫৪ শতাংশ মহিলা। পুরুষ ৪৬ শতাংশ। সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডেসংক্রামিতের মধ্যে মহিলা ৫৩ শতাংশ, পুরুষ ৪৭ শতাংশ। আর ভারতে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ প্রায় ৬৪ শতাংশ। বাকি অংশ মহিলা। এম আর বাঙ্গুরকোভিড হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ইনচার্জ ডাঃ শুভব্রত পাল বলেন, পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারা আক্রান্ত হলেও সংক্রমণজনিত শারীরিক জটিলতামহিলাদের কম। ধারণা করা হয়, পুরুষ হর্মোন টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণের হার বেশি হওয়ায়বেসাল মেটাবলিক রেট (বিএমআর) বেশি হয়। বিএমআর বেশি থাকলে প্রদাহজনিতঅসুখের প্রতিক্রিয়া বেশি হয়। তবে এ সবই ধারণা।এসিই ২ রিসেপটর’-এর তুলনায় ‘টোল–লাইক রিসেপটর’ অনেক বেশি থাকে মহিলাদের। টোল–লাইক রিসেটপর শরীরে সংক্রমণপ্রতিরোধ করে। পুরুষ দেহে এসিই ২ রিসেপটরের সংখ্যা বেশি। এই রিসেপটরের মাধ্যমেইএই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে। এই রিসেপটর থাকে ফুসফুস, আর্টারি, হার্ট, কিডনিতে।ফলে একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা পুরুষদেরই বেশি।