দীর্ঘ দুই মাসের বেশী বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হয়েছে ভোলার সাথে রাজধানীসহ বিভিন্ন নৌ রুটে চলাচল করা লঞ্চ।
এতে গন্তব্যে যেতে পারার আনন্দ বিরাজ করছে যাত্রীদের মধ্যে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার শর্ত স্বাপেক্ষে লঞ্চ চলাচলের কথা থাকলেও অধিকাংশ যাত্রী সতর্কতা অবলম্বন না করায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক যাত্রীই মানছেননা কোন স্বাস্থ্য বিধি।আবার লঞ্চ কর্তৃপক্ষও পুরোপুরি নিশ্চিত করছে না স্বাস্থ্যবিধি। অপর দিকে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ঘাট ছাড়ছে লঞ্চ। ফলে বিপাকে পড়েছেন আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা অসংখ্য যাত্রী।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে রবিবার সকালে ছিলো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। কে কার আগে লঞ্চে উঠবে তা নিয়ে ছিলো এক ধরনের প্রতিযোগীতা। যাত্রীরা হুড়োহুড়ি ও গায়ের সাথে গা মিশে লঞ্চে উঠে। সকাল সাড়ে ৮টায় ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো এ্যাডভ্যাঞ্চার কোম্পানির একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ।
কিন্তু ৭টা ২০ মিনিটেই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঘাট ছেড়ে যায়। ফলে শনিবার যারা ওই লঞ্চের টিকিট কিনেছিলেন তারা ঘাটে এসে বিপাকে পড়েছেন। যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ওই লঞ্চের লোকজন তাদের টিকেটের টাকা ফেরত না দিয়েই পালিয়ে গেছে।
তাদের মোবাইলও বন্ধ করে রেখেছে। অনেকে রোগী নিয়ে এসে যেতে না পেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাছাড়া যাত্রীদেরকে জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও করেছেন কেউ কেউ। এদিকে যাত্রীদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা যায়নি। অনেক যাত্রীর ছিলো না মাক্স।
আবার কেউ কেউ মাক্স পড়লেও তা ছিল মুখের নিচে লাগানো। অপর দিকে লঞ্চকর্তৃপক্ষকেও কোন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দাবী করেন তারা বিধি মেনেই লঞ্চ চলাচল করছে। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, লঞ্চ গুলোকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। কেউ তা না মানলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।