আদালত প্রতিবেদক
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে সাত দিন এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার ও সাইফুর রহমানের পৃথক আদালতে শুনানি শেষে তাদের রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আজ রিমান্ড শুনানির জন্য বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে আদালতে আনা হলে ইনু ও মেননের ওপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়। তাদেরকে কিলঘুষি মারা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে ইনুকে নিয়ে আসার সময় তাকে পেছন থেকে কিলঘুষি মারা হয়। এ সময় পাশ দিয়ে হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে ইনুকে লাথি মারেন। পরে পুলিশ ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্মীরা জানায়, দুই আসামিকে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে আদালতে এনে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তায় এজলাসে তোলা হয়। ওঠানোর সময়ই তাদের ওপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেন আইনজীবীরা। অনেকে তাদের কিল-ঘুষিও মারেন। কাঠগড়ায় ওঠানোর পর সেখানে তাদের ওপর দুটি ডিম নিক্ষেপ করেন আইনজীবীরা। তা দেয়ালে লেগে ইনু ও মেমনের কাঁধে লাগে। ইনুর সাদা পাঞ্জাবিতে কাঁধের কাছে ডিমের আবরণ দেখা যায়। এ সময় আইনজীবীরা তাদের ফাঁসি চেয়ে এজলাসকক্ষে শ্লোগান দেয়। ওই অবস্থায় বিচারক এজলাসে ওঠেন। হৈ চৈর মধ্যে তাদের রিমান্ড শুনানি হয়।
রিমান্ড আদেশ হওয়ার পর উত্তেজিত থাকায় আইনজীবীদের এজলাসকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। তখন ১৫ মিনিট আসামিদের কাঠগড়ায় রাখা হয়। সেখান থেকে নামানোর সময়ও আইনজীবীরা তাদের কিল-ঘুষি মারেন। জুতা দিয়ে আঘাত, জুতা নিক্ষেপ করেন। ডিমও ছুড়ে মারেন।
জানা গেছে, নিউমার্কেট থানার প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারের নিজ বাবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মোরাদ খান। তবে আদালত তাকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের পর রাজধানীর আদাবর থানার গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।