স্টাফ রিপোর্টার- বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় দুই লক্ষ সদস্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টা নাগরিক জীবনে সর্বত্র দায়িত্ব পালন করে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপি কমিশনার মো: হাবিবুর রহমান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ এখন বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে। দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে, পুলিশ শ্রমজীবি মানুষ ও পথচারী যারা পানি কিনে খেতে পারে না তাদের কথা বিবেচনা করে ডিএমপির ৫০টি থানা এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে স্থায়ী/অস্থায়ী ভাবে সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে। সেইসঙ্গে স্যালাইন দেয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় ঔষধও দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব আয়োজিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই যে বাংলাদেশ পুলিশের সেবা কেবল আইনশৃঙ্খলার ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়, সেটি তারা জাতিকে দেখিয়েছে। সবার আগে দেখিয়েছে ১৯৭১ এর ২৫ শে মার্চ রাতে। জাতীয়তার পরীক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ সবার আগে পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করেছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ চেয়েছিলেন, আজকের বাংলাদেশের পুলিশ সেই অবস্থানে রয়েছে দাবি করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বড় বড় সমস্যার সমুক্ষীন হতে হয়েছিল। সেটি ২০১৩ সালের ৫ মে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সেদিন কতটা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছিল দেশবাসী তা জানে। এরপর করোনা কালীন সময়ে বিশ্বব্যাপী যে অতিমারির সৃষ্টি হয়েছিল সেটিও মোকাবিলা করতে হয়েছে পুলিশকে। বাবা মা সন্তানের লাশ ফেলে চলে গেছে। সেই দায়িত্র নিয়েছিল পুলিশ। বাড়ি বাড়ি খাবার দিয়েছে পুলিশ, হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ।’
তিনি বলেন, ‘প্রখর রোদের ভেতর ঢাকা শহরের ট্রাফিক পুলিশ কীভাবে কাজ করে তা আমরা সবাই জানি। মানুষের কথা চিন্তা করে শুধু গরম না আরও যদি কোনো দুর্যোগ বিপর্যয় আসে পুলিশ বসে থাকতে পারে না ‘ পুলিশ তার দায়িত্ব ঠায় দাড়িয়ে পালন করে।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ পুলিশ জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি জীবন সাঁজাতে সংস্কৃতির প্রয়োজন হয়। জীবন বাঁচাতে এবং সাজাতে সবক্ষেত্রেই পুলিশের সতর্ক অবদান। সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই পুলিশের মাঝে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আয়োজন করা।’
এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর আয়োজন হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আজকে যে এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেটি ১৯৮৬ সাল থেকে শুরু হলেও জাতীয় ভিত্তিতে এবারই প্রথম করছি। পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল আবদুল্লাহ আল মামুন স্যারের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা এটি শুরু করছি। এই অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে এসেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। পারফর্মগুলোর বিচারের পাশাপাশি তারা আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেবেন সেটি প্রত্যাশা করি। এছাড়া আজকের এই প্রতিযোগীতায় যারা অংশগ্রহণ করবেন তাদের আমি আগাম অভিনন্দন জানাই।
বক্তব্য শেষে প্রদীপ জ্বালিয়ে তিন দিনব্যাপী পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার।