স্টাফ রিপোর্টার-
যশোর জেলার কেশবপুর এলাকা থেকে ১০ শ্রেনী পড়ুয়া অপহৃত এক কিশোরীকে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এসময় অপহরণ চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
গ্রেফতারকৃতের নাম- মোঃ রাকিবুল হাসান ওরফে রাজু (২৫)।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো: শামীম হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল (২৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন আদর্শবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারপূর্বক অপহরণ চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অপহৃত ভিকটিম কিশোরী যশোর জেলার কেশবপুর এলাকার সাতাইশকাটি ব্রাহ্মণডাংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। সে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকেলে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে সাইকেলযোগে তার প্রাইভেট টিউটরের বাড়ির দিকে রওনা করে। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও ভিকটিম নিজ বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে প্রাইভেট টিউটরের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে। প্রাইভেট টিউটর জানায় ওই কিশোরী ভিকটিম তার কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় নি। এর প্রেক্ষিতে ভিকটিমের পরিবার ভিকটিমকে খোজাখুজির জন্য বের হলে সাতাইশকাটি মোড় নামক স্থানে পৌছে ভিকটিমের ব্যবহৃত সাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখে। এসময় একজন পথচারী অপহরণের বিষয়টি ভিকটিমের পরিবারকে জানালে তারা নিশ্চিত হয় যে, ভিকটিমকে গ্রেফতারকৃত রাকিবুল এর নেতৃত্বে অপহরণ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, যশোরে গ্রেফতারকৃত রাকিবুল, পলাতক আসামি মিলন ও তানভীরসহ অজ্ঞাত আরও ২ থেকে ৩ জন এর বিরুদ্ধে একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন।
কিশোরীকে অপহরণের কৌশল হিসেবে র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে ওই কিশোরী সাতাইশকাটি মোড় নামক স্থানে পৌছালে গ্রেফতারকৃত অপহরণ চক্রের মূলহোতা রাকিবুল এবং তার অপরাপর সহযোগী মোঃ মিলন হোসেন ও মোঃ তানভীর টিপু মিলে একটি সাদা প্রাইভেটকার দিয়ে ভিকটিমের পথরোধ করে। অজ্ঞাত আরও ২ থেকে ৩ জনের সহযোগিতায় গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমকে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে চলে যায়।
তিনি বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে র্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করলে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে গতকাল ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে আইনানুগ প্রকৃয়া শেষে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-৩ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।