স্টাফ রিপোর্টার-
খুলনা জেলার দাকোপ এলাকায় ধানক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ‘বউ-শাশুড়ী’ হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি অংশুমান সহ ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল (২৫ মার্চ) রাত আড়াই টায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল র্যাব-৯ এর সহায়তায় বাগেরহাট জেলার মোংলা ও রামপাল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম জে সোহেল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার বাদী এবং আসামীরা পাশাপাশি বসত ভিটায় পরিবারসহ বসবাস করে আসছিল। ধান ক্ষেতের পাশে বসতবাড়ী হওয়ায় গৃহপালিত গরু-ছাগল, হাস-মুরগী মাঝে মধ্যে আসামীর ধান ক্ষেতে যেয়ে ফসল নষ্ট করত। এই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। ধৃত আসামী অংশুমান অন্য আসামিদের যোগসাজসে কু-মতলবে রাতের আধারে তার ধান ক্ষেতের আইলে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে রাখে।
ঘটনার দিন গত ১৯ মার্চ সকাল ১১:৩০ মিনিটের অংশুমান মন্ডলের ফসলীয় জমির আইলে অত্র মামলার বাদীর বৃদ্ধ মাতা মৃত চপলা গাইন (৬৫) শাক তুলতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে। তার শোর চিৎকারে বাদীর স্ত্রী মৃত টুম্পা গাইন (৪০) এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। তাদের শোর চিৎকারে বাদী নিজেই এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎ-স্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়েন।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। ঘটনার পর ভিকটিমের বড় ভাই সঞ্জীব গাইন (৪৫) বাদী হয়ে খুলনা জেলার দাকোপ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত সকল আসামিরা আত্ম-গোপনে চলে যায়।
আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে অধিনায়ক বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীরা ওই হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তারা উক্ত হত্যাকান্ডের পর থেকে নিজেদেরকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বাগেরহাট জেলার মোংলা ও রামপালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।