স্টাফ রিপোর্টার-
কুমিল্লা‘র সীমান্ত এলাকা থেকে হতে স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে এনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করত মোঃ সজিব(৩০) ওরফে ফেন্সি সজিব। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী জেলায় হওয়ায় সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে নিত্য নতুন বিশেষ বিশেষ পন্থা অবলম্বন করে রাজধানীতে মাদক নিয়ে আসত। সজীব ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে মাদক সরবরাহ করে। সে সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের ডিলার হিসেবে কাজ করত।
গতকাল (১৯ মার্চ) সজীবকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে র্যাব। মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল ৯৫৮ বোতল ফেনসিডিল সহ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন সিটি হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন খান বলেন, গ্রেফতারকৃত সজীব একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের মূলহোতা এবং দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লা থেকে রাজধানীতে মাদক নিয়ে এসে মাদকের ডিলার হিসেবে কাজ করছিল। সে ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুর সিটি হাউসিং এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়েছে মুলত মাদক মজুদ রেখে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় কিছু অসাধু মাদক ব্যবসায়ী দেশের বিভিন্ন স্থান হতে মাদক এনে বছিলা সিটি হাউজিং এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিক্রি করছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমাদের কাছে তথ্য আসে। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে র্যাব জানকে পারে সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লা থেকে মাদকের একটি বড় চালান ঢাকায় নিয়ে এসে নিজ ভাড়াকৃত বাসায় রেখে খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করছে একটি চক্র। মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের জন্য রাজধানী মোহাম্মদপুর থানাধীন সিটি হাউজিং এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।
তিনি জানান, র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন সিটি হাউজিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ফেন্সি সজিব ’কে গ্রেফতার করে। তাকে ফেনসিডিল সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে কৌশলে এড়িয়ে গেলেও পরবর্তীতে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার কাছে ফেনসিডিল থাকার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য মতে টয়লেটের উপরে ফলসছাদ এবং গেষ্ট রুমে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা পাঁচটি প্লাষ্টিকের বস্তায় মোট ৯৫৮ (নয়শত আটান্ন) বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক আটাশ লক্ষ চুয়াত্তর হাজার টাকা।
অধিনায়ক আরও জানান, চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।