1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অবশেষে গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দার মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে মাদক ও ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার সাভারের পাঁচ খাল-বিলের সীমানা নির্ধারণে হাইকোর্টের নির্দেশ আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু মে দিবসে ক্যাপ, পানি, স্যালাইন বিতরন করলো তেজগাঁও থানা পুলিশ মে দিবসে উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করলে কাওকেই ছাড় দেয়া হবে না-প্রধানমন্ত্রী দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে জেলেরা অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে গণধর্ষনের মামলায় বাইশ বছর পলাতক ছিলেন তিনি

ভুয়া উপসচিব ও প্রোগ্রামার পরিচয়ে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন আসাদুজ্জামান ও লুৎফর!

  • সময় : রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৩০

স্টাফ রিপোর্টার-

শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ সচিব ও প্রোগ্রাম অফিসার
পরিচয় দিয়ে অনিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো নিবন্ধনের আওতায় আনার আশ্বাসের মাধ্যমে আসাদুজ্জামান ও লুৎফর হাতিয়ে নেন ৪ কোটি টাকারও বেশি। এমনই অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে নেমে তাদের দুজনকেই আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই এর তথ্য মতে, অনিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আওতায় আনা ও লাইব্রেরিয়ান নিয়োগেসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আস্বাস দিয়ে এই দুইজন এখন পর্যন্ত বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে মোট ৪ কোটি ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৭২ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

রবিবার(১৮ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পিবিআই বিশেষ  পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা দুইজন প্রতারককে গ্রেফতার করেছি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অফিসার পরিচয় দিয়ে ছদ্মনামে তারা প্রতারণা করে বেড়াতেন।  এদের একজনের নাম আসাদুজ্জামান মানিক। সে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ফলগাছা মাধ্যমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং রংপুরের আরেকজন প্রতারক আব্দুল গফফার। তিনি রংপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে  প্রভাষক থেকে অবসরে আসেন। ২০১৯ সালে আসাদুজ্জামান মানিকের সাথে তার পরিচয় হয়। তাদের  পরিচয় সূত্র ধরে তারা প্রতারনার ছক আঁকে।

এরপর সুট টাই পড়ে ভুয়া উপসচিব সেজে ঘুরে বেড়ায়। আর আসাদুজ্জামান মানিক প্রোগ্রাম অফিসার সাজেন। এরা বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখেন যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্তির ফাইল পেন্ডিং আছে, লাইব্রেরিয়ান বা বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রয়োজন সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের নাম্বার জোগাড় করে ফোন দেন। এভাবে তারা অনেকের সাথেই যোগাযোগের চেষ্টা করে।

পরবর্তীতে তারা ভোলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ স্থাপন করতে সফল হয়। পরে  তারা ঢাকায় চলে আসে এবং বিশ্বাস অর্জনের জন্য সচিবালয়ের অপরদিকে  অবস্থান নিয়ে প্রচারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের সঙ্গে দেখা করে। এরপর তাদের কাছে ১২ লক্ষ টাকা দাবী করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, এই টাকা দিলে তারা তাদের কাজ করে দেবে। সঙ্গে সঙ্গে ওই অধ্যক্ষ রাত ৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তাদেরকে দেয়। পরবর্তীতে তারা বিভিন্নভাবে বিকাশ নগদের মাধ্যমে বাকি টাকা নেয়। টাকা দেয়ার পরেও যখন তাদের কাজ হচ্ছিল না তখন তারা খোঁজখবর নেয়। অধিদপ্তরের খোঁজ খবর নিলে পারে জানতে পারেন এই নামে কেউ নেই।

শেষ পর্যন্ত তারা আমাদের কাছে আসলে আমরা তাদের একটা অভিযোগ নিয়ে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করে দেখতে পাই যে ঘটনাটি সত্যি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা মামলা দায়ের  করলে আমরা সেই মামলার সূত্র ধরে একজনকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে এবং আরেকজন  উপসচিব পরিচয়ধারীকে উত্তরার একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

তিনি জানান, এই দুই প্রতারক ২০১৯ সাল থেকে গোপনে এই প্রতারণার কাজটি করে যাচ্ছিলেন। আমরা তাদের এখন পর্যন্ত বিকাশ বা নগদের লেনদেনের যে তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে মোট ৪ কোটি ১লাখ ১৩ হাজার ৯৭২ টাকা লেনদেনের তথ্য রয়েছে।

এখন পর্যন্ত তাদের মাধ্যমে প্রতারিত অনেক ভিকটিম আমাদের কাছ আসছে। আমরা তাদের কাছ থেকে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করব। বর্তমানে আমরা তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে এসেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে।

পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, আসামীরা পূর্ব হাজার বটতলা সিনিয়র মাদ্রাসা বরগুনা থেকে ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, নাটোরের বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে ৮৫ হাজার টাকা, ভোলার  উত্তর চরমানিকা লতিফীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, জয়পুরহাটের মোহাব্বতপুর আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা হতে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা সহ আরও অন্যান্য মাদ্রাসার শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি বাতিল করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন বিকাশ ও নগদ নম্বরে সর্বমোট ৪ কোটি ১লাখ ১৩ হাজার ৯৭২ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪