স্টাফ রিপোর্টার-
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ২৮০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল বিএনপি। ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) রয়েছেন।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় দলের চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী ও নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদাকে উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২৮০টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, দলটির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো তালিকা পর্যালোচনা করে ৭০টি আসনে প্রার্থীর নাম পাওয়া যায়নি।
তৃণমূল বিএনপি ঘোষিত প্রার্থীদের তালিকায় থাকা সাবেক সংসদ সদস্যরা হলেন মৌলভীবাজার-২ আসনে এম এম শাহীন, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে এম এ আউয়াল, সাতক্ষীরা- ৪ আসনে এইচ এম গোলাম রেজা, ঝিনাইদহ-২ আসনে নুরুদ্দিন আহমেদ ও মেহেরপুর-২ আসনে আবদুল গণি।
দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ), নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা মুন্সীগঞ্জ-১ (সদর), মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন।
গাজীপুর-১ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক বিএনপিনেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তারের ছেলে মাইনুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন গোপালগঞ্জ-৩ থেকে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল বিএনপি। এ বিষয়ে দলের মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘গোপালগঞ্জ-৩ আসনে একজন প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু তার ব্যাংক ঋণ রয়েছে। আমরা বিকল্প প্রার্থী খুঁজছি।’
তৃণমূল বিএনপির ঘোষিত প্রার্থীতালিকায় বেশকিছু আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এ বিষয়ে তৈমুর বলেন, ‘ঠুনকো কারণে অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। মনোনয়ন ফরম জমা ও প্রত্যাহারের মধ্যে বেশ কিছুটা সময় পাওয়া যায়। এর মধ্যে এলাকায় যাদের জনপ্রিয়তা বেশি তাদের দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়নি, কিন্তু সরকার গঠন তো ঠেকানো যায়নি। এবারও কেন সরকারকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দেব? তাদের ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পাস করতে দেব না।’