স্টাফ রিপোর্টার-
বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন ” স্মার্ট অনস্ট্রিট পার্কিং” স্মার্ট বাংলাদেশের একটি স্মার্ট উদ্যোগ। স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের নিজেদের স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে”।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে ডিএনসিসির হল রুমে আয়োজিত স্মার্ট অনস্ট্রিট পার্কিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগরীর যানজট নিরসনে যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি নি:সন্দেহে প্রশংশনীয়। এতে জনগনের দূর্ভোগ অনেক অংশে লাঘব হবে। স্মার্ট পার্কিং ব্যবস্থা চালুর ফলে রাস্তার উপর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং কমে যাবে ফলে রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ি সমূহ দ্রুতই গন্তব্যে পৌছাতে সক্ষম হবে।
তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামের প্রশংশা করে আইজিপি বলেন, মেয়র মহোদয় অনেক রেসপন্সিবল মানুষ, আমরা যতবার তাকে প্রয়োজনে ফোন করেছি তিনি অতিদ্রুত সকল প্রয়োজনে আমাদের সাড়া দিয়েছেন। আমরাও বলতে চাই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সব সময় অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে পুলিশ বাহিনী।
আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের যে প্রচেষ্টা “আমি মনে করি স্মাট অনস্ট্রিট পার্কিং চালুর মাধ্যমে সেটি আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল”।
আইজিপি জানান, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে একটি স্মার্ট বহুতল পার্কিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এখানে আগত পুলিশ কর্মকর্তাদের ১৫০ টি গাড়ি পার্ক করা সম্ভব হয়, ফলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সামনের রাস্তায় যে যানজট সৃষ্টি হতো সেটি দূর হয়ে গেছে। একই ভাবে রমনা কোয়ার্টায়, রাজারবাগস্থ মধুমতি কোয়ার্টারেও স্মার্ট বহুতল পার্কিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে আরও এধরণের পার্কিং ব্যবস্থাপনা নির্মানের প্রকৃয়া চলছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যেগে আজ থেকে কিছু কিছু নির্ধারিত স্থানে চালু হলো স্মার্ট পার্কিং সিস্টেম। এটির মাধ্যমে একজন গাড়ি চালক সহজেই অ্যাপসের মাধ্যমে পার্কিং বুক করতে পারবেন, নির্ধারিত সময়ের পার্কিং ফি অ্যাপস অথবা কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে উন্নত দেশ গুলোর সাথে মিল রেখে গাড়ি পার্কিং এর জন্য আধুনিক ব্যবস্থাপনা তৈরি করা। আপাতত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত রাস্তায় পাইলট আকারে পার্কিং ব্যবহারকারীদের মতামত গ্রহনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এলওসিসি সভাপতি ও সংসদ সদস্য একে এম রহমত উল্লাহ, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: মোস্তাফিজুর রহমান এবং ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সেলিম রেজা, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগঃ জেনাঃ মো আমিনুল ইসলাম, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী, ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো শহিদুল্লাহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল মোমেন।