স্টাফ রিপোর্টার-
পুলিশের পিস্তল, শটগান ও রাইফেল ছিনতাই, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার একটি মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকসহ তিনজনকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপর দুইজন হলেন ঢাকা মহনগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও গোলাম কিবরিয়া।
সন্ধ্যার আগে এই তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার পুলিশের এসআই ইউসুফ প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। সন্ধ্যার পর শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের প্রসিকিউশন কার্যালয়ের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টন থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান মুন্সি।
এ মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ অনেক নেতা উপস্থিত হয়ে সরকারবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। কাকরাইল মোড়ের দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে।
বিএনপি নেতা আমিনুল হক ও মিরাজকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতা আমিনুল হক ও মিরাজকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
এরপর নাইটিঙ্গেল মোড়েও বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে। বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কাকরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগরে ত্রিমুখীভাবে ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এতে কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত হন। আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুটি শটগান, একটি চায়নিজ রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্য মালামাল নিয়ে যায়।