স্টাফ রিপোর্টার-
তিন দলের অবরোধ কর্মসূচীকে ঘিরে জনগনের জানমালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে র্যাবের তিন শতাধিক টহল নিয়োজিত থাকবে। যে কোন ধরনের নাশকতা এড়াতে টহলের পাশাপাশি গোয়েন্দা কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি আ.ন.ম ইমরান খান।
তিনি জানান, আগামীকাল ৩১ অক্টোবর থেকে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে র্যাব ফোর্সেস এর ১৫টি ব্যাটালিয়নের ৩ শতাধিক টহল নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারী কার্যক্রম চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, অবরোধ কর্মসূচীকে ঘিরে কেউ যদি কোন ধরণের নাশকতা কিংবা সহিংসতার পরিকল্পনা করে তাকে সাথে সাথে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাব ফোর্সেস এর স্পেশাল টিম ও স্টাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। যে কোন নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাব ফোর্সেস সার্বক্ষণিক দেশব্যাপী নিয়োজিত থাকবে।
এ বিষয়ে র্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুস্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীরা নাশকতা ও সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা এই ধরণের নাশকতা ও সহিংসতার সাথে জড়িত ছিল, তাদেরকে সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে শনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে র্যাব।
এছাড়া বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে অনলাইনে স্বার্থানেষ্বী ও সুযোগ সন্ধানীমহল বিভিন্ন উসকানীমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য বা গুজব ছড়াচ্ছে, বিভিন্ন ধরণের ভিডিও এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে জনমনে আতংঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব ফোর্সেস এর সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক সাইবার জগতে নজরদারী রাখছে।
উল্লেখ্য গত ২৮ শে অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশ ঘিরে কাকরাইল মোড়, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, আইইডিবি ভবন, পুলিশ হাসপাতাল, ট্রাফিক বক্স, ডিসি রমনা ট্রাফিকের অফিস, কমলাপুর বিআরটিসি ডিপো, পল্টন পানির ট্যাংক, বিজয়নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব চালানো হয়। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আতর্কিত হামলা চালিয়ে বাস ভাংচুর করে এবং বাসে অগ্নি সংযোগ করে, পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, পুলিশের বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুর করে তাতে আগুন দেয়। এসময় দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাদের তান্ডব লীলায় পুলিশের প্রায় শতাধিক সদস্য আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।