স্টাফ রিপোর্টার-
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়ে এখনো সিধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপির সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশের অনুমতি নিয়ে এখনো সিধান্ত হয়নি। তবে সিদ্ধান্ত দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে।
আগামীকাল সমাবেশকে কেন্দ্র করে ডিএমপিতে আজকে একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কি কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ট্রাফিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ধরনের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের যেসব দায়িত্ব থাকে সেসব নিয়ে আলোচনা হয়ছে।
তিনি বলেন, আগামীকালের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ডিএমপির পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তা আমরা করেছি।আমাদের কাজগুলো অনেকক্ষাণী করা হয়েছে। সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আর কিছু কিছু বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করা লাগবে।
তিনি বলেন, আগামীকাল বড় দুইটি দলসহ প্রায় ৩০ রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি আছে। এই কর্মসূচিগুলোকে কেন্দ্র করে আমাদের অফিসারদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ ট্রাফিকের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
আগামীকাল বড় দুইটি দলের সমাবেশ করার কথা রয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে তাদের প্রস্তুতির বিষয় আছে, ডিএমপির সিদ্ধান্ত নিতে এতো দেড়ি হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের সমাবেশের ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিবেচনায় নিতে হয়। আমাদের জায়গা থেকে যে ধরনের কাজ করা দরকার সেগুলো আমরা গুছাচ্ছি। আমরা আশা করি কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
ডিএমপির সিদ্ধান্ত কি ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিএমপি সব সময় ইতিবাচক জায়গায় থাকে। প্রতিদিন আমাদের অসংখ্য প্রোগ্রাম থাকে। সব প্রোগ্রামের বিষয়ে কিন্তু আমরা ইতিবাচক থাকি। সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, খেলাধুলা ও বিদেশীদের প্রোগ্রামের বিষয়ে কিন্তু আমরা ইতিবাচক থাকি।
আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। আর হয়তো দুয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমরা জানাতে পারব এ বিষয়ে। অনুমতি শুধু আমরা একা দিতে পারি বিষয়টি এমন নয়। এর সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থাও আছে তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া, বিষয়গুলোর সম্পর্কে তথ্য নেওয়া যাচাইসহ বিশ্লেষণ করার বিষয় আছে, এরপর সিদ্ধান্ত আসে।
তিনি বলেন, আমরা কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের দরখাস্ত পেয়েছি পরশুদিন। এগুলো আমার ডিসির কাছে গিয়েছে, ডিসির আবার সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছে পাঠিয়েছে ঝুঁকি বিশ্লেষণ করার জন্য। এসবগুলো দুই দিনের মধ্যে করে নিয়ে আসা এসব বিষয় কিন্তু থাকে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছি। রাজনৈতিক প্রোগ্রামের বাহিরেও কিন্তু কালকে অনেক প্রোগ্রাম আছে সেগুলোও আমাদের হ্যান্ডেল করতে হয়।
জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপির মনোভাব কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাপলাচত্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। এটি ঢাকা শহরের হার্টের মতো। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকের সদরদপ্তরেসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। সে জায়গাতে দায়িত্বশীল কোনো দল বা কোনো সংগঠন রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি চাইবে আমরা আশাকরি না। কাজেই আমাদের এই বিবেচনাটি সেই জায়গায় আছে।