ডেস্ক রিপোর্ট-
একটু দেরি হলেও আস্থার প্রতিদান দিতে শুরু করলেন তানজিদ হাসান তামিম। পুনেতে জসপ্রিত বুমরা-মোহাম্মদ সিরাজদের বোলিং আক্রমণের সামনে সাবলীল তামিমের দেখাই মিলল। যদিও প্রথম ৫ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছিল মাত্র ১০ রান।
৭ম ওভারে বুমরাকে ফাইন লেগ দিয়ে দুর্দান্ত এক ছক্কা মারলেন তামিম। এরপরও শুরু করেছিলেন ঝোড়ো ব্যাটিং। ঠিক অভিষেক বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে যেন তামিম ইকবালের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠলেন তানজিদ তামিম। ২০০৭ বিশ্বকাপের কিছুদিন আগেই অভিষেক হয়েছিল সিনিয়র তামিমের। সেই বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নেমে তামিম খেলেছিলেন ৫১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ওটাই ছিল তামিমের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি। তিনিও ক্যারিয়ারের প্রথম কয়েক ম্যাচে ছিলেন নড়বড়ে।
এই বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েছেন তানজিদ তামিম। তিনিও প্রথম ওয়ানডে ফিফটি পেলেন বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে। ৪১ বলে তুলে নিয়েছেন প্রথম ওয়ানডে ফিফটি। ১৫ তম ওভারে কুলদীপ যাদবের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে তানজিদ ও খেললেন সিনিয়র তামিমের মতো ৫১ রানের ইনিংস। মেরেছেন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে তামিম ইকবালের ছক্কা মারার সেই স্মৃতিও যেন ফেরালেন তানজিদ তামিম। জুনিয়র তামিম আজ ডাউন দ্য উইকেটে বাউন্ডারি মারলেন শার্দুল ঠাকুরকে।
তানজিদ তামিম ও লিটন দাসের ওপেনিং জুটিও সেভাবে বড় হচ্ছিলেন। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ২০ রান জমা করার আগেই উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়া যেন অলিখিত এক নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। সেখানে পুনের মহারাস্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ভিন্ন রূপে দেখাচ্ছেন লিটন ও তামিম। বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড ৯৩ রান তুলেছেন তাঁরা।
এর আগে বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৬৯ রান। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেন এই জুটি গড়েছিলেন।