স্টাফ রিপোর্টার-
নৌ পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, শারদীয় দূর্গাপূঁজা
উপলক্ষে সারাদেশে নৌ পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবেন। যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে দায়িত্বরত প্রতিটি সদস্য তৎপর থাকবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে দুর্গাপূজায় যাতে কেউ অপতৎপরতা চালাতে না পারে তাই অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশ সব সময় পাশে থাকবে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নৌ পুলিশের হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো কুচক্রীমহল যাতে ঝামেলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে সমন্বিত ভাবে কাজ করছে।
এছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকু নৌ পুলিশের আওতায় পড়ে। তাই নৌ পুলিশ এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিবে।
তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে পূজা কমিটির সংশ্লিষ্ট সকলকে পরামর্শ দেন। পূজা মন্ডপ গুলোতে পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের বিষয়েও গুরুত্বআরোপ করেন তিনি। বিসর্জনের দিন উচ্চস্বরে গান বাজনা করে নৌকায় আনন্দ ভ্রমনের বিষয়ে যুবসমাজকে নিরুৎসাহিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, বিসর্জনের সময় যারা সাতাঁর না জানেন তাদের বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দের তৎতপর থাকতে হবে, তাদেরকে যথাসম্ভব নৌকায় উঠা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি ঘাটে নৌ পুলিশের রেসকিউ টিম সার্বক্ষনিক টহল নিশ্চিত করনের মাধ্যমে যে কোন দূঘটনা মোকাবিলা করতে হবে এবং পুলিশের টহল নৌকায় স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে রাখতে হবে। স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন এবং কাউন্সিলর দের সাথে সমন্বয় করে প্রতিটি ঘাট আলোকিত করার ব্যবস্থা করতে হব এবং পর্যপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নামাজ ও আযানের সময়ে সাউন্ড একেবারে বন্ধ রাখার চেষ্টা করবো। যাতে নামাযে সমস্যা সৃষ্টি না হয়৷ এছাড়া যারা পরীক্ষার্থী যারা আছেন তাদের যাতে কোনো সমস্যা না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তবে ধর্মীয় যা রীতিনীতি রয়েছে সেগুলোতে কোনো বাধা নিষেধ নেই।
অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, পূজামণ্ডপে কোনো নারী যেন ইভটিজিংয়ের শিকার না সেজন্য প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক দের তৎপর থাকতে হবে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয়৷
অতিরিক্ত আইজিপি জানান, বিসর্জন ঘাটগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছেগতবারের চাইতে এবার আরও ভালোভাবে পূজা উদযাপন হবে বলে আশা করছি।
এছাড়া নদীতে জলদস্যুতা ও ডাকাতির সময় অনেক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয় নৌ পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের সক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে নৌ পথে আগে যে ভয় ছিল এখন তা অনেকাংশেই কমে এসেছে। বাংলাদেশের সকল নদীকে আমরা নিরাপদ করতে সক্ষম হবো।
সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, বিভিন্ন জেলার পূজা উদযাপন কমিটির নেতা ও বিভিন্ন জেলার নৌ পুলিশের পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
সভায় বক্তারা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিজ নিজ এলাকার পূজা পূর্ববর্তি পুজাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জনের সময় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বক্তব্য দেন।