ডেস্ক রিপোর্ট –
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে রাস্তা-ঘাট উন্মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ডিএনসিসির উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনে যান মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম। উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে উত্তরখানের বালুর মাঠে আয়োজিত এক সভায় তিনি এই নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি ঠিকাদার ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা দেন। এসময় রাস্তা সম্প্রসারণ করতে ৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ঢাকার এই ওয়ার্ডগুলি অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকার সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের মর্যাদা দিয়েছে। আমরা বসে নেই, কাজ শুরু করে দিয়েছি।’

বৃষ্টি হলেই এই এলাকাগুলোতে পানি উঠে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দ্রুত কাজ শেষ করতে না পারলে জনভোগান্তি দীর্ঘায়িত হবে। সবাই যার যার মতো ডোবা, নালা নিচু জমি জলাশয় ভরাট করে বিল্ডিং করে ফেলছে। পানি নামার সুযোগ নেই। ফলে ভোগান্তি চলছেই।’
তিনি বলেন, ‘এই এলাকার মূল রাস্তাটির প্রশস্ত হবে ৭২ ফিট। বিভিন্ন গলির রাস্তা হবে কমপক্ষে ২০ ফিট। ফলে রাস্তার ধারে অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে হবে। জনগণের জায়গা জনগণকে ফেরত দিতে হবে।’
এ সময় তিনি জনস্বার্থে কারো ব্যক্তি মালিকানাধীন কোনো জায়গা থাকলে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়োগকৃত ২৪ ব্রিগেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোর দক্ষতার সাথে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে তারা বেশ কিছু রাস্তা করে ফেলেছে। ড্রেনেজের জন্য ভূগর্ভে ৬ ফিট ডায়ার রিং বসানো হচ্ছে। জলাবদ্ধতা আর থাকবে না।’
গৃহিত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই এলাকার জীবন মানের সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে বলে তিনি জানান।
পরবর্তীতে তিনি যারা রাস্তার জন্য স্বেচ্ছায় জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য ৪৪-৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে ডিসেম্বর মধ্যে নতুন এলাকায় ৪১ কিলোমিটার রাস্তা ও ড্রেনেজ নির্মানের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতির বিষয়টি উপস্থাপন করেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে নিয়োজিত মেজর সৌমিক ইসলাম।
সভা শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রেন স্থাপনের কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান। এ সময় খাল ও রাস্তার জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বানানো ৪টি বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির অঞ্চল ৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ বাকীর উপস্থিতে সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়।