1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন

ভারতীয় ব্যবসায়ীর সহায়তা স্বীকার করে বিপাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩
  • ২৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দেশের সরকারপ্রধান হওয়ার ক্ষেত্রে এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর সহায়তার কথা স্বীকার করে বিপাকে পড়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ড। পার্লামেন্টের অনেক বিরোধী সদস্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি তুলেছেন বলে জানা গেছে।

নেপালের পরিবহন খাতের একজন শীর্ষ বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা ছিলেন ভারতীয় ব্যবসায়ী সর্দার প্রীতম সিং। বিশেষ করে নেপালের ট্রাক নির্মাণ খাতের পথিকৃৎ বলে পরিচিতি এই ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা একই সঙ্গে দেশটির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।

কয়েক বছর আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা এই ব্যবসায়ীর স্মরণে ‘রোডস টু দ্য ভ্যালি : দ্য লিগেসি অব সর্দার প্রীতম সিং ইন নেপাল’ নামের একটি বই সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন তার অনুরাগীরা। সোমবার সেই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রচণ্ড।

অনুষ্ঠানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী করার পেছনে তার অবদান রয়েছে। দিল্লি ও কাটমান্ডুর অনেক নেতার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল এবং আমাকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য তিনি অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রেও তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

এদিকে তার এই বক্তব্য প্রচার-সম্প্রচার হওয়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নেপালের পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল- ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট (সিপিএন-ইউএমএল)। বুধবার পার্লামেন্টে বিক্ষোভ শেষে অধিবেশনও বর্জন করেছে তারা।

পরে বুধবার সন্ধ্যায় সিপিএন-ইউএমএলের চেয়ারম্যান ও নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে প্রচণ্ডর অপসারণ চাইছেন।

সংবাদমাধ্যমকে ওলি বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রীর) এই বক্তব্য আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, মর্যাদা, সংবিধান এবং পার্লামেন্টের মূলে আঘাত হানার শামিল। আমরা এ সম্পর্কে তার কাছ থেকে আর কোনো ব্যাখ্যা চাই না, কেবল চাই— তিনি যেন স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।’

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছে পার্লামেন্টের অপর বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টিও (আরপিপি)। বুধবার দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আরপিপি জানিয়েছে, ‘দিল্লি থেকে নিয়োগপ্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকারের পর তার (প্রচণ্ড) আর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার মতো নৈতিক অধিকার থাকে না।’

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার রঘুজি পান্তও একই দাবি তুলেছেন। বুধবার নেপালের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নৈতিক অবস্থানের জায়গা থেকেই তার পদত্যাগ করা উচিত। দিল্লি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন আমাদের নেই।’

এদিকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রচণ্ড দাবি করেছেন, তার বক্তব্যকে ভুলভাবে প্রচার করছেন বিরোধীরা।

প্রচণ্ড বলেন, ‘আমি বলতে চেয়েছি, ভারতের একজন নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও নেপাল ও নেপালের জনগণকে আপন করে নিয়েছিলেন সর্দার প্রীতম সিং। নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নে তার ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছি। কিন্তু বিরোধীরা কেবল আমার কথার অংশ বিশেষ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছেন।’

সূত্র : এনডিটিভি

বা বু ম / অ জি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪