চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গায় রুবেল শেখ (১৪) নামে এক কিশোর চালককে হত্যা করে তার চার্জার ভ্যান (পাখি ভ্যান) ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মর্তুজাপুর গ্রামের একটি খেজুরবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানা-পুলিশ সোহাগ আলী (২০) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত রুবেল শেখ সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ইয়ামিন শেখের ছেলে। গ্রেপ্তার সোহাগ আলী ছয়ঘরিয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার সোহাগ আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল শেখ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আজ বেলা ১১টায় এ বিষয়ে সংবাদ ব্রিফিং করা হয়েছে। জেলা পুলিশের মুখপাত্র সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে এই ব্রিফিং করেন। এ সময় ওসি মাহাব্বুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ব্রিফিংকালে বলেন, অভিযুক্ত সোহাগ আলী ছয়ঘরিয়া গ্রামের কিশোর ভ্যানচালক রুবেল শেখের পাখি ভ্যানে চড়ে সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে আসেন। এরপর উপজেলার দশমাইল বাজারে যান। সেখানে খাওয়াদাওয়া করেন। সোহাগ কিশোর রুবেলকে পাশের মর্তুজাপুর গ্রামের খেজুরবাগানে নিয়ে গিয়ে গল্প করেন। একপর্যায়ে তিনি লাঠি দিয়ে রুবেলের মাথায় আঘাত করেন। এতে রুবেল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সোহাগ লাশটি খেজুরবাগানের ভেতর গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়, রুবেল শেখের ভ্যানটি নিয়ে সোহাগ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যান। সেখানে স্থানীয় লোকজন ভ্যান বিক্রির আগে জেলা পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী সোহাগের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) চান। সোহাগ এনআইডি আনার কথা বলে ভ্যানটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ডাকবাংলো বাজারে যায়। ভ্যানের গায়ে লেখা মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ অভিযানে নামে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সোহাগকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজ সকালে সোহাগ লাশের সন্ধান দেন। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি মাহাব্বুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।
বা বু ম / অ জি