1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো বাপাকা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম- আইজিপি শারক্বীয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার পূর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা! ক্রেতা সেজে বসুন্ধরা শপিং মল থেকে আইফোন চুরি করতে গিয়ে আটক ১ কাল থেকে বৃষ্টি হতে পারে ডিমের হাফ সেঞ্চুরি, সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া ছিনতাই হওয়া স্বদেশ আবার ফিরিয়ে আনেন শেখ হাসিনা- ড.সৈয়দ আনোয়ার হোসেন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন-যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মানবাধিকারের জ্ঞান মোদিকে দেওয়াটা আমেরিকার জন্য সেরা পথ নয়

  • সময় : রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩
  • ৫১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে মুহূর্তে ওয়াশিংটনে বাইডেন প্রশাসন উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছিলেন, দুই দেশের সম্পর্কবিষয়ক অযৌক্তিক উচ্ছ্বাসের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নতি স্বীকার করা উচিত হবে না।

 আমার ভারতীয় সহকর্মী বারখা দত্ত লিখেছেন, ওয়াশিংটনের আলিঙ্গন যত উষ্ণই হোক না কেন, ভারত কখনোই আমেরিকার মিত্র হতে পারবে না। এর কারণ, ভারত তার নিজের জাতীয় স্বার্থের দিকে নিবিড়ভাবে দৃষ্টি রেখেছে এবং সেই স্বার্থ উদ্ধারে দেশটি সর্বোচ্চ মাত্রায় চাপাচাপি করে এগোবে। এর সমর্থনে বারবার উদ্ধৃত করা উদাহরণ হলো, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে ভারতের অস্বীকৃতি।

সংশয়বাদীরা সঠিকভাবেই এটি মনে রাখেন যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে পূর্ণাঙ্গ অর্থে মিত্র বানানোর জন্য দীর্ঘদিন যে চেষ্টা করে যাচ্ছে, তাকে ভারত এশিয়ায় ব্রিটেনের অনুসৃত নীতিরই একটি সংস্করণ হিসেবে মনে করে থাকে। সে কারণে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ মিত্র হওয়ার টানকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিহত করে আসছে এবং এটি তারা করতেই থাকবে। ভারত মনে করে আসছে, যেকোনো দেশের মতো ভারতেরও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো নিজস্ব স্বার্থ আছে।

তবে ভারত বদলাচ্ছে। অতীতে দেশটি তার বৃহত্তর সমাজের হাজারো জাতি-সম্প্রদায়, কয়েক ডজন প্রধান ভাষা এবং বিশাল আঞ্চলিক বৈচিত্র্যজনিত জটিলতাকে সামাল দিতে গিয়ে ব্যস্ত থেকেছে। এর ফলে দেশটি পররাষ্ট্রনীতিতে জোর কমই দিতে পেরেছে।

তবে এখন চীনের উত্থান শেষ পর্যন্ত ভারতকে পররাষ্ট্রনীতিতে মনোযোগী করতে পেরেছে। ২০২০ সালে হিমালয়–সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় চীন ও ভারতের নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে যে ভয়ানক সংঘাত হয়েছিল, সেটি ভারতের কৌশলগত অভিজাত শ্রেণির জন্য এবং খানিকটা হলেও গোটা জাতির জন্য একটি জাগরণী আহ্বান ছিল।

ওই ঘটনার পর অধিকতর তীব্রতায় ভারতীয় জনসাধারণের অনুভূতির বদল হচ্ছে। আজ বিপুলসংখ্যক ভারতীয় চীনকে শত্রুদেশ বলে মনে করে। এই সমস্যা সমাধানে বেইজিং খুব বেশি কিছু করেনি। উল্টো তারা ভারতসংলগ্ন সীমান্তজুড়ে সমানে সামরিক স্থাপনা বাড়িয়ে যাচ্ছে। এর ফলে চীন যখন খুশি সেখানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক সেনা জড়ো করতে পারবে।

দুই দেশের জনগণের সঙ্গে জনগণের মৈত্রী অনিবার্যভাবে সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক জোরদার করবে। তার চেয়ে বড় কথা, আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অধিকতর গভীরভাবে যুক্ত ভারত হবে এমন একটি দেশ, যে কিনা স্বাভাবিকভাবেই নিজের ঘরে গণতন্ত্রকে নিখুঁত করতে চাইবে। এটি ভগ্নদশাগ্রস্ত বিশ্বে ভারতকে একটি নৈতিক কর্তৃত্বও দেবে, যা তাকে বিশ্বের জন্য অধিকতর প্রয়োজনীয় করে তুলবে।

তিন বছর আগের এই সংঘর্ষের পর থেকে ভারত তার বাজারে হুয়াওয়ে এবং টিকটকের মতো বহু চীনা কোম্পানি ও প্রযুক্তিকে সীমাবদ্ধ করেছে কিংবা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। চীনের এই সব হুমকি ভারতে আগামী কয়েক দশকের জন্য ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে উদ্বুদ্ধ করবে।

যেহেতু ভারত একটি মহাশক্তি হিসেবে উত্থিত হচ্ছে, সেহেতু ভারতকে বিশ্বজুড়ে আরও বিশদ আকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির দিকে মনোযোগী হতে হবে।

বিদ্যমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি ভারত কী মনোভাব বজায় রাখবে, সেটি তাকে সংজ্ঞায়িত করতে হবে। একই সঙ্গে কীভাবে ভারত সরকারের নিজস্ব আইডিয়া ও আদর্শগুলো তার অবস্থানকে প্রভাবিত করবে, সেটিও তাকে হিসাবে রাখতে হবে।

এই প্রক্রিয়া ধরে ভারত একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিলে দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে তারা অনেক সফট পাওয়ার বা নৈতিক শক্তি অর্জন করতে পারবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশির ভাগ গণতান্ত্রিক দেশের ক্ষেত্রে সত্য হয়ে ধরা দিয়েছে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, গণমাধ্যম, বিচার বিভাগ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যান্য স্বাধীন সংস্থার প্রতি মোদির গৃহীত নীতি নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। এর মধ্যে অনেক সমালোচনা সর্বাংশে যথার্থ।

মোদি ভারতের গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছেন। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার গতিবিধি পর্যালোচনা করা প্রধান তিনটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তিনটিই বলেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের গণতন্ত্রের মান পড়ে গেছে।

সুইডেনের ভি-ডেন ইনস্টিটিউট বলেছে, ভারতকে এখন কোনো অর্থেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যাবে না। ভারত এখন তাদের ভাষায় ‘নির্বাচিত স্বৈরশাসন’। তবে ভারতের মতো ক্ষয়িষ্ণু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের লেনদেন বা সম্পর্কের আদান–প্রদান কেমন হবে, সেটি এখন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতে মোদি অসম্ভব জনপ্রিয়; তার চেয়ে বড় কথা তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদও তুমুল জনপ্রিয়।

বা বু ম / এস আর

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪