ক্রীড়া প্রতিবেদক
ডান-হাতি পেসার রেজাউর রহমান রাজার দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্যে জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসর শুরু করলো মাশরাফি-মুশফিকের সিলেট স্ট্রাইকার্স।
আজ থেকে শুরু হওয়া এবারের বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৮৯ রান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বল হাতে ক্যারিয়ার সেরা ৪ ওভারে ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন রাজা। জবাবে ৪৫ বল বাকী রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ১১ রান করে রান আউট হন ওপেনার মেহেদি মারুফ। পঞ্চম ওভারে চট্টগ্রামের আরেক ওপেনার আফগানিস্তানের দারুউইশ রাসুলিকে ৩ রানে আউট করেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির।
পাওয়ার-প্লে’তে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম।
সপ্তম ওভারে চট্টগ্রামের অধিনায়ক ১ রান করা শুভাগত হোমকে শিকার করেন সিলেটের পেসার রেজাউর রহমান রাজা।
২২ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন তিন নম্বরে নামা ব্যাটার আল-আমিন।
কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। ২০ বলে ১৮ রান করে নেদারল্যান্ডসের অফ-স্পিনার কলিন অ্যাকারম্যানের শিকার হন আল-আমিন।
৪৪ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আল-আমিনের বিদায়ের পর চট্টগ্রামের মিডল-অর্ডারকে বিপদে ফেলে দেন তিন পেসার রাজা-আমির ও মাশরাফি। ৮০ রানে চট্টগ্রামের নবম উইকেটের পতন ঘটান তারা।
পাকিস্তানের উসমান খান ২, ভারতের উন্মুখ চাঁদ ৫ ও নিহাদুজ্জামান ৮ রান করে রাজার শিকার হন। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিকে ৩ রানে আউট করেন মাশরাফি।
এক প্রান্ত আগলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন আফিফ হোসেন। ২৩ বলে ৩টি চার হাকানো আফিফকে আউট করেন আমির।
শেষ উইকেটে ৯ বলে ৯ রান তুলেন শ্রীলংকার মালিন্দা পুষ্পকুমারা ও মেহেদি হাসান রানা। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৮৯ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম।
পুষ্পকুমারা ৬ ও রানা ২ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন সিলেটের রাজা। আমির ২টি, মাশরাফি-অ্যাকারম্যান ১টি শিকার করেন।
৯০ রানের সহজ টার্গেটের জবাব দিতে নেমে তৃতীয় ওভারেই হোচট খায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামের বাঁ-হাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হন অ্যাকারম্যান।
শুরুতে উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে নিয়ে দলের জয়ের পথ তৈরি করেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তিন নম্বরে নামা জাকির হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও জাকির।
জাকিরকে লেগ বিফোর আউট করে জুটি ভাঙ্গেন চট্টগ্রামের পুষ্পকুমারা। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ বলে ২৭ রান করেন জাকির।
দলীয় ৭৫ রানে জাকিরের আউটের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশির সাথে ১৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৫ রান করে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন শান্ত। ১২ দশমিক ৩ ওভারে ২ উইকেটে ৯০ রান করে সিলেট।
৪১ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন কশান্ত। ১টি চারে ৮ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। চট্টগ্রামের মৃত্যুঞ্জয়-পুষ্পকুমারা ১টি করে উইকেট নেন।
বা.বু.ম/ তাপস রায়