1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

সোহেল-রওশন দম্পতি! খোঁজ নিতে বাড়িতে ইউএনও,ডিসির ফোন

  • সময় : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৯৫

আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,ময়মনসিংহঃ

গণমাধ্যম ও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সোহেল-রওশনের নজিরবিহীন অন্ধ ভালোবাসার গল্পটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় তা নজর কেড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাদের অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার(১৬ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহের ত্রিশালের গুজিয়াম টানপাড়া গ্রামে তাদের বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আক্তারুজ্জামান।বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এনামুল হক বলেন,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর আমি নিজে ওই দম্পতির সঙ্গে কথা বলেছি।

এর আগে বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে বলা হয়।এরপর সরেজমিনে তাদের বর্তমান অবস্থা জানতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের নির্দেশে ওই বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।শুরুতেই রওশন ও সোহেলকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মেয়ে স্মরণীকে চকলেট উপহার দেন ইউএনও আক্তারুজ্জামান। পরে পরিবারটির নানা সমস্যা ও কষ্টের কথা শোনেন এবং সেগুলো দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জানিয়ে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)মো.আক্তারুজ্জামান বলেন,ভালোবাসার যে নিদর্শন তৈরি করেছেন সোহেল-রওশন,সে বিষয়টি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নজরে আসে।সেই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় সরেজমিনে তাদের বাড়িতে এসেছি।মো.আক্তারুজ্জামান বলেন,এখানে সোহেল ও রওশনের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে যে কারও জীবনকে অর্থবহ ও সুন্দর করতে গেলে অত্যন্ত ধনী,মেধাবী, সুন্দর কিংবা পারফেক্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই।প্রয়োজন শুধু ভালোবাসার।চলমান নানা সংকটের সমাজে এই দম্পতি এটিই প্রমাণ করেছে।তিনি আরও বলেন, রওশনের স্বামী সোহেল স্ট্রোক করেছেন ২০২০ সালে।তাই ভারী কাজ করতে পারেন না তিনিও।তারা বসবাস করেন একটি মাটির ঘরে।পাশে রয়েছে টং,যেখানে সোহেল তার স্ত্রীর মানসিক প্রশান্তির জন্য এটি করে দিয়েছেন যেন তিনি মানুষের সঙ্গে কন্ট্রাক্টে থাকতে পারেন।এখানেও কিন্তু সোহেল মিয়ার ভালোবাসার নিদর্শন ফুটে উঠেছে।

পরিবারটির চাহিদার কথা উল্লেখ করে ইউএনও মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত পরিবারটি। তাদের এখন প্রয়োজন গোসলখানা-টয়লেট একসঙ্গে রেখে একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া,পুঁজিসহ স্থায়ী দোকানের ব্যবস্থা করা,চলাচলের জন্য হুইলচেয়ার।তাদের মেয়ে স্মরণী এখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে উচ্চ শিক্ষিত করার মাধ্যমে রওশন তার স্বপ্ন পূরণ করতে চান।দারিদ্রের কারণে যেন তার পড়াশোনা বন্ধ না হয়ে যায়,এটিও সোহেল মিয়া ও রওশন আক্তারের চাওয়া।এসব বিষয় সরেজমিনে এসে আমরা দেখলাম ও জানতে পেলাম এবং একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাব।

আমরা প্রত্যাশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খোঁজখবর নেওয়ায় মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সোহেল-রওশন দম্পতি। সোহেল মিয়া বলেন,প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে বাড়িতে ইউএনও স্যার আসছিলেন।আমাদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন।আমাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জেনে গেছেন।সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস তিনি দিয়ে গেছেন।প্রধানমন্ত্রী যে আমাদের পাশে আছেন,এতেই আমার বুক ভরে গেছে।সোহেল মিয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন। জন্ম থেকেই দুই পা অচল রওশনের। নিজের পায়ে ভর দিয়ে চলার শক্তি নেই। ১০ টাকায় পাওয়া নম্বর থেকে ভালোবাসার শুরু। কখনো ছেড়ে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৪ বছর আগে ভালোবেসে তাকে বিয়ে করেন সোহেল।এরপর থেকে স্বামীর পিঠে চড়েই চলাফেরা করেন রওশন আক্তার।হয়েছেন সন্তানের মা।এখন ছোট্ট মাটির ঘর আর একটি টং দোকানই তাদের সম্বল। তবে শত কষ্টের মধ্যেও তারা অনেক সুখী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪