মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনির ভুরঘাটা মসজিদ বাড়ী অবস্থিত নূর ক্লিনিকের ডাক্তার ও নার্সের ভুল সিজারিয়ান ও চিকিৎসার কারনে প্রাণ গেল এক মায়ের। রেসমা আক্তার (২০) নামের ঐ রোগী আজ বিকেলে মারা যান। নিহত রেশমা কালকিনি উপজেলার ভেলিব্রীজ এলাকার ছত্তার খানের মেয়ে । স্বজনদের অভিযোগ নুর ক্লিনিকের ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার ফলে রেশমা মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, গত ১৫ দিন আগে প্রসব ব্যথা নিয়ে নুর ক্লিনিকে যায় রেশমা । পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাচ্চা ভাল নেই বলে সিজার করানোর কথা বললে রেশমার পরিবার সিজারের অনুমতি দেয়।কিন্তু সিজারের পর থেকেই রেশমা পেটে ব্যথা অনুভব করে এবং অল্প অল্প রক্তক্ষরণ হতে থাকে।এই সমস্যা নিয়ে নুর ক্লিনিকে গেলে সিজার করার স্থানটি ১৫ দিনের মধ্যেই তিনবার সেলাই করেন তারা । প্রথমে সিস্টার দিয়ে সেলাই কেটে পুনরায় সেলাই দিয়ে দেয়।তাতেও সমস্যা সমাধান না হলে আবারও ডিউটি ডিপ্লোমা ডাক্তার দিয়ে সেলাই কেটে পুনরায় সেলাই দিয়ে রোগীকে বরিশাল পাঠিয়ে দেয়।বরিশাল নেয়ার পথে আজ রেশমা মৃত্যু হয়। রেশমার মৃত্যুতে ১৫ দিনের নাবালক শিশু হারালো মা, স্বামী হারালো স্ত্রী,বাবা মা হারালো আদরের ছোট মেয়ে।
মুলত নুর ক্লিনিকটি স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান এর হওয়ায় রোগীদের ভুল চিকিৎসা করা হলেও ভয়ে রোগীরা মুখ খোলে না।
এ ব্যাপারে নূর ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক রোগীর লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।
রোগীকে ক্লিনিকের ডাক্তার অন্য কোথাও উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ না দিয়ে নিজেরাই সেলাই কাটে আবার সেলাই করেন। এতে করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রেশমা। পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল নেওয়ার পথে রেশমা না ফেরার দেশে পারি দেন।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন,পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।