1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ অপরাহ্ন

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সার্ভিসের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে জবি শিক্ষার্থীরা

  • সময় : মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১
  • ৩২০

এম.আই এ রাফিল, জবি প্রতিনিধি :

করোনা মহামারির কারনে দেশে চলছে কঠোর লকডাউন।  ঢাকায় আটকে থাকা জবি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বাস সার্ভিসের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুলাই )  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ইমদাদুল হক, ট্রেজারার ড. কামালউদ্দিন আহমদ ও প্রক্টর মোস্তফা কামালের কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন।
তারা বলেন, করোনা মহামারির জন্য লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এমনকি এই লকডাউন ঈদ পর্যন্ত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বলা বাহুল্য, উক্ত লকডাউনে ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলায় যাওয়ার জন্য কোনো দূরপাল্লার বাস যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। এমতাবস্থায় ঢাকায় আটকে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঢাকায় মেসে থাকাটা খুবই কষ্ট-দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। 
অন্যদিকে, আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হল না থাকায় ঈদের আগে আমাদের ভ্যাকসিন পাবারও সম্ভাবনা দেখছি না। এতে, করে দিনকে দিন করোনার মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করাটা আমাদের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে পড়েছে। তাই এমতাবস্থায়, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় ও প্রশাসনের কাছে এই লকডাউন মহামারিতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে ঢাকায় আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের দেশের সব বিভাগীয় শহরে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। 
করোনো লকডাউনে ঢাকায় আটকে থাকা জবি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও আসন্ন ঈদুল আযহার বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনা করে আমাদের জবিয়ানদের জন্য এই মহৎ মানবিক উদ্যোগটি গ্রহণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চির কৃতজ্ঞ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইমদাদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি বাসের জন্য দাবি করে, বাস দেয়া যাবে। তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবে এটা আনন্দের। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বাসগুলো চলে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়। চালকরা হাইওয়েতে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতেও অভ্যস্ত নয়। বাসে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ভার নিতে হবে। একটা বাসে ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী থাকবে। হাইওয়েতে অনভিজ্ঞ চালকদের হাতে আমরা তাদের তুলে দিতে পারি না। এছাড়াও সীমান্ত পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে করোনার সংক্রমণ খুবই বেশি। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে রোগী ধারনের ঠাঁই নেই। বাড়িতে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। ঢাকায় থাকলে আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবো। এছাড়া তাদের বাড়িতে পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যরা রয়েছেন। তাদের কথা চিন্তা করে হলেও এই ঈদে ঢাকায় থাকা উচিত। করোনা সংক্রমণ রোধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আরো সচেতন হতে হবে। এরপরও যদি তারা বাস চায়, আমরা করোনা সংক্রমণের হার কম ওই এলাকাগুলোতে বাস সার্ভিস দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪