রিশাল জেলায় হাজার ছাড়িয়েছে করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী বরিশাল জেলায় ১ হাজার ৫৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। যার মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্যকর্মী, র্যাব ও পুলিশ সদস্য এবং ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রয়েছেন।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২ মাসের ব্যবধানে এ সংখ্যা হাজারের ওপরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে জেলায় ১৪ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণও করেছেন। জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলায় মোট শনাক্তদের মধ্যে ২৭৬ জন নারী ও ৭৮১ জন পুরুষ করোনায় আক্রান্ত। যে হিসেবে নারীদের থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি পুরুষের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে।
আর মোট শনাক্তদের মধ্যে শূন্য থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ৫৬ জন, ২০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত ৮০৯ জন এবং পঞ্চাশোর্ধ ১৯০ জন ব্যক্তি রয়েছেন। যে হিসেবে সব থেকে বেশি আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছে। যা ২০ বছরের নীচের রোগীর থেকে ১৪ গুণের বেশি এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্বের রোগীদের থেকে ৪ গুণের বেশি।এছাড়া গোটা জেলার মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল নগরে ৮৩৩ জন, সদর উপজেলায় ১৭ জন, বাবুগঞ্জে ৩৭ জন, উজিরপুরে ৩৮ জন, মেহেন্দীগঞ্জে ২২ জন, বাকেরগঞ্জে ৩০ জন, হিজলায় ৮ জন, মুলাদীতে ১৭ জন, বানারীপাড়ায় ২২ জন, আগৈলঝাড়ায় ১২ জন এবং গৌরনদীতে ২১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
মোট শনাক্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত জেলায় ১৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, যারমধ্যে বরিশাল নগরে ৮ জন, মুলাদী উপজেলায় ২ জন, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ২জন, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ১ জন এবং গৌরনদী উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, গোটা বরিশালেই আক্রান্তের চিত্র কিছুটা এক। এখানে যেমন উপসর্গবিহীন রোগীর সংখ্যা কম, তেমনি তরুণ ও মধ্যবয়স্কদের আক্রান্তের সংখ্যাটাও বেশি। সবার উচিত স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা।