জবি প্রতিনিধি :
স্বজনপ্রীতি ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে ইউজিসি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতির অভিযোগ পর্যালোচনায় আছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ফেরদৌস জামান।
নিয়োগে স্বজনপ্রীতির বলয় ও পছন্দের প্রার্থীর যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি, অর্থ ও হিসাব দপ্তরে অর্ধকোটি টাকা লোপাট, উপাচার্যের অফিস ও গাড়ি ট্রেজারারের দখলে খবর প্রকাশিত হওয়ায় এর তদন্ত করতে চায় ইউজিসি।
এ বিষয়ে ফেরদৌস জামান বলেন, ‘যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতি হলে আমরা সেটা খতিয়ে দেখি। এরপর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে জেনেছি। সংবাদ মাধ্যমেই আমরা মূলত এসব অভিযোগ পেয়ে থাকি। আমরা নিশ্চয়ই এটার তদন্ত করবো।’
অর্থ লোপাটের অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অডিট টিমেরই আপত্তি ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের হিসাব পর্যালোচনা করার সময়।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান লকডাউনের জন্য আমাদের কাজ কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দূর্নীতি বিষয়ে আমরা খুব শীঘ্রই তদন্তে যাবো। আমরা গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো পর্যালোচনা করেছি। ঈদ পরবর্তী আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে এই অভিযোগ গুলো খতিয়ে দেখা হবে।’
তদন্ত চেয়ে ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতি:এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকল নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। একইসাথে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতির অভিযোগ্যের তদন্ত ও প্রয়োজনীয় নেওয়ার দাবিও জানায় সংগঠনটি।
সোমবার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জবি সংসদের সভাপতি কেএম মুত্তাকী ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা অমান্য করে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নিয়োগে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, আঞ্চলিকতা ও রাজনৈতিক বিবেচনার অভিযোগ এসেছে। আমরা দেখেছি, একই নিয়োগ বোর্ড বছরের পর বছর বিভিন্ন নিয়োগ নিয়োগ দিয়ে আসছে। এতে করে শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে৷ আমরা অবিলম্বে এ সমস্ত ঘটনার তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দাবি করছি।
তারা আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করবো দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে অস্বচ্ছ ও ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বাতিল করা হবে। একই সাথে অবৈধ নিয়োগের সাথে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এসময় ছাত্র ইউনিয়ন সকল প্রকার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল অংশীজনকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।