1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন

কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী কল্যাণ ফান্ডের অভাবে ভুগছেন কুবি শিক্ষার্থীরা

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৪৭


কুবি প্রতিনিধিঃ


আর্থিকভাবে দূর্বল শিক্ষার্থীদের সহায়তা,দুরারোধ্য রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ মেটানোসহ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য  কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নেই কোনো কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী কল্যাণ ফান্ড। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রতিবছর শিক্ষার্থী ভর্তির সময় বিভিন্ন খাতে ১২ হাজার ৭৬০ টাকা নেওয়া হয়। যার মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ ফি/ কল্যাণ তহবিল/ সাহায্য তহবিল নামেও একটি খাত থাকে৷ 
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ জুন উপাচার্যের নির্দেশে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষার্থী পরামর্শক ও নির্দেশক শাখার পরিচালক ড. জি.এম. মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক ও অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক মো: নাছির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফান্ড গঠনের জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিলো।
এ ব্যাপারে জানতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ড. জি.এম. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমাদের আহ্বায়ক কমিটি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। সেই চিঠিতে এ যাবতকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ফান্ডে কী পরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে এবং এখন কী পরিমাণ অর্থ আছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিলো। পাশাপাশি শিক্ষার্থী কল্যাণ ফান্ডের জন্য একটি আলাদা অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে বলা হয়। আমরা এ পর্যন্ত আবেদন করে রেখেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে আমার জানা মতে, এখন পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
অন্যদিকে কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক মো: নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মিটিং করে আমাদের সুপারিশগুলো রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠিয়েছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত কোনও ফিডব্যাক পাইনি।’
ছাত্র সহযোগিতা ফান্ড নিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ তৌকির আহমেদ বলেন, ‘আমার সহপাঠী তানিন মেহেদী দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন ছিল। করোনায় ভার্সিটি বন্ধ, আর এই মূহুর্তে তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য টাকা সংগ্রহ করা আমদের জন্য অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিলো। ছাত্র সহযোগিতা ফান্ডটা থাকলে আমরা কিছুটা হলেও এখান থেকে সাহায্য পেতাম।
এদিকে ছাত্র সহযোগিতা  ফান্ডের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে সহযোগিতা ফান্ড করলে তো ভালো হয়। এটা অন্তত মানবিক একটি দিক। আমিও অনেক সময় বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। একটা নীতিমালার মাধ্যমে এটা চালু করা গেলে অনেক শিক্ষার্থী এতে উপকৃত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের  বলেন, সহযোগিতা ফান্ড গঠনের জন্য আহবায়ক কমিটি করা হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তী সময়ে শ্রেণী কার্যক্রম চালু হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় এটা নিয়ে আর  ভাবা হয়নি।
এসময় দুরারোগ্য ব্যাধি সহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অসুস্থতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ ফান্ডের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি বছর আল্লাহ না করুক দুই একজন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। তখন ৩০-৪০ লাখ টাকা তো আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিতে পারবে না। 
এটা তো ছাত্ররা চাঁদা উঠাবে, শিক্ষকেরা দিবে, সবাই মানবিক দিক থেকে দেখবে। এটার জন্য তো আর বিশেষ ফান্ড থাকে না। তবে যা করা হচ্ছে, সেটা হলো ছাত্র কল্যাণের টাকাটা আলাদা করা হচ্ছে। সেটা কোথাও ডিপোজিট করা হবে। সেখান থেকে যেটা আসবে সেটা থেকে ছাত্রদের সহযোগিতা করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪