1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

চর‌মোনাই মাহ‌ফি‌লের আখেরী মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা, ১১ মুসল্লির মৃত্যু!

  • সময় : শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৩৩৭

এম ব‌শির, ব‌্যু‌রো প্রধান, ব‌রিশালঃ

চরমোনাই মাহফিলে
বরিশালে তিনদিন ব্যাপী চরমোনাই মাহফিলের শেষ দিনে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মাওলানা সৈয়দ মো. রেজাউল করিম। ছবি: ভোরের কাগজ
বরিশালে তিনদিন ব্যাপী ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম এর পরিচালনায় আখেরি মোনাজাত শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে আগত মুসুল্লিদের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়। জানাজা শেষে তাদের কফিন নিজ নিজ ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি।

মোনাজাতের আগে শেষ বয়ানে পীর সাহেব বলেন, পরিপূর্ণ ও সহি-শুদ্ধভাবে নামাজের জন্য কেরাত শিক্ষা করা ফরজ। যারা আত্মাকে পবিত্র করবে তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।

ইমানের ওপর পরিপূর্ণভাবে মজবুত থাকার নির্দেশনা দিয়ে সৈয়দ মো. রেজাউল বলেন, আল্লাহ পাকের জিকির অধিক করলে কলবের ময়লা দূর হয়। কলব পরিষ্কার হওয়ার একমাত্র পথ জিকির। এ বছর মাহফিলে প্রায় এক কোটি লোক অংশগ্রহণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। চরমোনাইতে বৎসরে দুটি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, রেকর্ড সংখ্যক উলামায়ে কেরামের উপস্থিতি ছিলো এবারের মাহফিলে।

এদিকে, দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। দোয়া মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য পথে যাতে কোনো দুর্ভোগ না হয় এজন্য বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চরমোনাই পীর কুরআন হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে জাহান্নামের ভয়াবহতা বর্ণনা করেন এবং জান্নাতের নেয়ামতের বিবরণ দেন। জাহান্নামের ভয়াবহতার বর্ণনা শুনে মাহফিলে আসা মুসুল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করে দুনিয়ার লোভ-লালসা ত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিতে সব কাজকর্ম করার উপদেশ দেন।

আখেরি মুনাজাতে পীর সাহেব বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করেন এবং সবাইকে ইসলামের ছায়াতলে আসার আহবান জানান।

এরমধ্যে এই বারের ফাল্গুনের মাহফিলটি ব্যাপক পরিসরে হয়ে থাকে। চলতি বছর চরমোনাই এলাকায় ৫টি মাঠজুড়ে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যার আয়তন হচ্ছে ৩০০ একর অর্থাৎ প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা। এরপরও লোক সংকুলান হচ্ছে না।

জানা গেছে, আগত মুসল্লিগণ জায়গা না পেয়ে আশেপাশে বাড়ির আঙ্গিনায় ও জঙ্গল ঝোপঝাড়ে তাবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছেন। মোনাজাত শেষে আগত মুসুল্লিরা শত শত বাস, লঞ্চ ও ট্রলার যোগে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। নদীর বিস্তৃর্ণ এলাকা, মাঠের আশপাশের বাগান, ঘড়বাড়ির আঙিনাসহ সবখানে বিপুলসংখ্যক মুসল্লিদের উপস্থিতিতে তিল ধারণে ঠাঁই ছিল না।

মুসুল্লিদের উদ্দেশে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, যারা চরমোনাই এসেছেন তারা সবাই নির্দেশ মেনে চলবেন, অন্যথায় চরমোনাই আসার দরকার নাই। আমরা সবাই কবর পথের যাত্রী, যার ভিতরে তাকাব্বরি থাকবে সে বেহেশতের ঘ্রাণও পাবে না। হিংসা, অহংকার, গীবত, মিথ্যা, সুদ, ঘুষসহ সব গুণাহের কাজ হতে দূর করতে হবে।

মাহফিলে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম, মুফতী সৈয়দ এছহাক মো. আবুল খায়ের, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, মুফতী আমিনী রহ. এর সাহেবজাদা মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনীসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায় কেরাম, মাদরাসার মুহতামিম, শায়খুল হাদীস রাজনীতি ব্যক্তিবর্গ সাংবাদিক, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী স্বেচ্ছাসেবক দল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪