মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ শরণখোলা প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বান্দারহাট সংলগ্ন ধানসাগর টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এক দল বনরক্ষী সহ শরনখোলা ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তায় প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্তরনে আনা হয়।
অপরদিকে, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহম্মদ বেলায়েত হোসেন সহ পুর্ব সুন্দরবনের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধানসাগর ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জানায়, ৮ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) সকাল ১১টার দিকে গ্রামবাসীরা ওই এলাকায় ধোয়ার কুন্ডালি দেখে বনবিভাগকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ভাবে আমি তাৎক্ষনিক বনরক্ষীদের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার চারদিকে নালা কেটে আগুন আটকে দেয়া হয় । পরে ফায়ার সার্ভিসের শরনখোলা ইউনিট যোগ দেন।
এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্তনে রয়েছে এবং এতে বনের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি । তবে, ৪/৫ কাঠা বনের সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । এছাড়া আগুন লাগার কারন এখনও জানা যায়নি।
ধারনা করা হচ্ছে পর্যটক কিংম্বা পথচারীদের ফেলে যাওয়া বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে এমন ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। তবে, আগুন নিয়ন্তরনে আসলেও সংশ্লিষ্ট এলাকা আপাতত ঘিরে রাখা হবে।
এছাড়া আগুন লাগার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তবে, নাম গোপন রাখার শর্তে, বন সংলগ্ন এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা বলেন, সংশ্লিষ্ট বনরক্ষীদের ম্যানেজ করে একটি প্রভাবশালী চক্র বছরের পর বছর সুন্দরবনের বিভিন্ন বিল-ও জ্বলাশয়ের বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ লুট করার কারনে প্রতি বছর শুস্কমৌসুমে চাঁদপাই রেঞ্জের এই অংশে রহস্য জনক ভাবে নাশকতার আগুন লাগে ।
কিন্তু হয়রানির শিকার হন সাধারন মানুষ। কিন্তু সব সময় প্রভাবশালীরা থেকে য়ায় ধরা ছোয়ার বাইরে। বন কর্মকর্তারা কোন ঘটনার গভীরে প্রবেশ করেন না।
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং আগুন লাগার কারন খতিয়ে দেখা হবে।