এম.আই এ রাফিল, জবি প্রতিনিধি ::
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষনা করা হবে। এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনে কোন ফি নেওয়া হবে না। পরে যাচাইয়ের মাধ্যমে যারা দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত হবে তারা ৫০০ টাকা আবেদন ফি প্রধানের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোন ফি প্রদান করতে হবে না। যেসব শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে তারা সকলেই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। গুচ্ছভুক্ত এবং অন্যান্য গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে মেধার ভিত্তিতে ততজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীরা ৫০০টাকা জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যে সকল শিক্ষার্থী ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারাই আবেদন করতে পারবে। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৬.৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৬ থাকতে হবে; তবে প্রত্যেক শাখাতে ( বিজ্ঞান/বাণিজ্য/মানবিক) এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩ থাকতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। শুধুমাত্র এবছরের জন্যই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাসকৃত শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পরবর্তী বছর হতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ববর্তী বছরের পাসকৃত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না।
সভা শেষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদেরকে অপশন দেয়া হবে সে কোথায় বসতে চায়। তার কাছের বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ২০টি অপশন থাকবে। ২০টি অপশন অনুযায়ী তাদেরকে ঐ কেন্দ্রে বসতে দেয়া হবে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা কোনো শিক্ষার্থীকে আবেদনের যোগ্যতা থেকে বঞ্চিত করতে চাই না। আমরা চাই এবার যেন সবাই আবেদন করতে পারেন। সেজন্য আবেদনের যোগ্যতা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।