রনি ইমরান,পাবনাঃ
ইছামতি নদী পাড়ের ৪টি রের্কডধারী বৈধ্য বসতিদের উচ্ছেদ না করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের পাবনা আগমনে তার দৃষ্টি আর্কষণ করার জন্য শহরে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সিএস পেটি, দিয়ারা,এস এ,আর এস,বি এস রেকর্ডধারীদের ইছামতি নদী পাড়ের বসতি সংরক্ষণ কমিটির ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরও আশ্রয় পাচ্ছে অথচ নদী পাড়ে যুগযুগ বসবাস করেও আমরা কেনো উচ্ছেদ হবো।আমাদের কাগজপত্র বৈধ তা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। আমাদের পরিবারদের, পৈতৃক ভিটা থেকে
উচ্ছেদ করা চলবে না।
বক্তারা দাবী করেন,নদী পাড়ের সব বসতীদের ৪ টি রেকর্ড রয়েছে যা ব্রিটিশ শাসনামলে ডিস্ট্রিক্ট ক্যালেক্টরের নির্দেশনায় জরীপ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৪৫ সালে সরকারি গেজেট আকারে চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।পরবর্তীতে পাকিস্তান আমলে সম্পত্তি ১৯৬২ সালে এস.এ রেকর্ড সূত্রে এই সমস্ত ভূমি নদী পাড়ের নামে চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।
এছাড়া ২০০৮ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৪(৭) উপধারা এবং এই আইনের অধীনে প্রণীত ১৯৫৫ সালের প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ৩৪(২) বিধি মোতাবেক সর্বশেষ জরীপের মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশিত রেকর্ড (খতিয়ান ম্যাপ) মালিকানা বা স্বত্ব নির্ধারিত ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতিদের স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো আল মাসুদ রিজভি ম্যাক্সিম এর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন,প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা, ইছামতি পাড়ের বাসিন্দা এ্যাড. নাজমুল হোসেন শাহিন। মানববন্ধনে নদী পাড়ের নারী পুরুষ শিশু সহ কয়েকশত বাসিন্দা
অংশ নেয়।