সিরাজগঞ্জে নাটোর মহাসড়কে বেস কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারিদিক,নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রাও। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা। কুয়াশার কারণে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর থেকে শুরু করে নাটোর মহাসড়ক পযন্ত সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে সেতুর ওপরে ও পশ্চিম মহাসড়কে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় সেতুর পূর্বপাড় টাঙ্গাইল প্রান্তের ২০ কিলোমিটার ও পশ্চিমপাড় সিরাজগঞ্জ প্রান্তের হাচিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সংযোগ মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ১ ঘণ্টা পর সেতু খুলে দিলেও দুপুর পর্যন্ত ধীরগতিতে যানবহন চলেছে। এ সময় আটকে থাকা যাত্রীরা তীব্র ভোগান্তির শিকার হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুর ট্রাফিক কন্ট্রোলার নজরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। এ কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর ওপর দিয়ে তিনটির জায়গায় একটি করে যানবাহন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছিল। এরপর কুয়াশার ঘনত্ব আরো বেড়ে যাওয়ায় বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা সেতু দিয়ে যান সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে তা আবার খুলে দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, কুয়াশার কারণে যানবহনগুলো ধীরগতিতে চলছে। এ কারণে সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে শুরু করে নলকা নলকাসেতু পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার মহাসড়কজুড়ে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
কামারখন্দ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহীনুর কবীর জানান, বুধবার ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় পূর্ব পশ্চিম পাড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুনরায় সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে প্রায় তিন ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় দুর্ঘটনা ও ছিনতাই রোধে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের গোলচত্বর হতে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানার নলকা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কে পুলিশের ৫টি টিম টহলে ছিল#