আসন্ন ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলার মধুখালী পৌরসভা নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত,নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী, পৌর আ.লীগ নেতা,মেয়র মোরশেদ রহমান লিমন গত কয়েক দিনে ব্যাপক গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।পাশাপাশি নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনায় জনসভা,কর্মীসভা,উঠোন বৈঠক,মতবিনিময় সভা চলছে সমান তালে।আ’লীগের প্রার্থী গত সপ্তাহ ব্যাপী মধুখালী শহরের বিভিন্ন শপিং মল, বিপনী বিতান,দোকান-পাট,সড়ক ও বাসা বাড়ীতে পায়ে হেঁটে হেঁটে গণসংযোগ চালান।এসময় মানুষ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা,ভালবাসা জানান,দোয়া-আর্শীবাদ করেন,কেউ কেউ অগ্রীম বিজয়ের শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানান।
পৌর সভার মেছরদিয়া,বনমালীদিয়া,মোহনবাজার,শ্রীপুর,রেল কলোনী,গুন্ধারদিয়া,মৌসুমী মাঠ এলাকা,পূর্ব-পশ্চিম গাড়াখোলা,থানা পাড়া,গেট পাড়া,আশ্রায়ন আবাসন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভাগুলোতে বলেন, আমি চেয়ারের ভক্ষক নই,রক্ষক হয়ে ছিলাম,ভবিষ্যতে আপনাদের সন্তান হয়ে থাকতে চাই। নাগরিক জীবনের সকল সমস্যা নিরসনে চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং সময় উপযোগী উদ্যোগ নিয়ে আরো সমাধান করতে চাই। আজ থেকে ৫ বছর আগে নাগরিক সমাজের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে পৌর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। তখন অধিকাংশ ভোটরদের কাছে আমি ছিলাম অপরিচিত-অখ্যাত এক যুবক। আমার বড় পরিচয় ছিল আমি মরহুম মফিজুর রহমান মঞ্জু মিয়ার ভাতিজা। ঐ নির্বাচনে আপনাদের অফুরন্ত স্নেহ ভালোবাসা আর আন্তরিক সমর্থনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে বড় ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হই।
বিগত ৫ বছরে মেয়রের দায়িত্ব পালন কালে সব মিলিয়ে ২৯ কোটি টাকার কাজ করেছি (যার কিছু চলমান)।পৌরসভার মান সি-গ্রড থেকে, বি-গ্রেডে উন্নতি করেছি।কার্পেটিং, ম্যাকাডাম,আরসিসি,এইচ বি বি সব মিলিয়ে ৩৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছি।জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ৫টি ড্রেন নির্মাণ করেছি এবং আরও ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে।নাগরিকদের গোসলের সুবিধার্থে চন্দনা নদীতে ২ টি স্নানঘাট নির্মাণ করেছি।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পাবলিক প্লেসে মোট ১১ টি টয়লেট নির্মাণ করেছি। এছাড়াও অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে আরো চলমান আছে।
তিনি আরো বলেন মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় আমার চাচা মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে কাজ করে গেছে, আমিও সেই ধারাবাহিকতায় আ.লীগের কর্মী হয়ে কাজ করে যেতে চাই। শাসক নয় পৌরবাসীর সেবক হয়ে বিগত দিনে উন্নয়ন দিয়ে সুখে-দুখে পাশে ছিলাম,আজীব আপনাদের সেবক হয়ে পাশে থাকতে চাই। মেয়র লিমন বলেন,আমি আপনাদের আমানতের খেয়ানত করি নাই।পৌরসভার দুয়ার ছিল সকলের জন্য খোলা,আগামীদিনে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে ।
জীবনের বড় প্রাপ্তি সফল বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক, দলীয় সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত আ.লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন।
আমৃত্যু আমি জয় বাংলার শ্লোগানে প্রকাশিত হয়ে গণমানুষের সেবায় কাজ করে যাবো।
গণসংযোগ,পথসভাগুলোতে আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।