1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানের মহান দায়িত্বে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই-ডিএমপি কমিশনার আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল সবজি, পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কমলেও, কমেনি আলুর দাম ঘোষিত হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ডিএমপি কমিশনার মোঃ সাজ্জাত আলীর দায়িত্বভার গ্রহণ নতুন পুলিশ প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক হবেন- প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষেই দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সংঘটিত হবে-আইন উপদেষ্টা

আমন ধান মাটিতে হেলে পড়ায় দিশেহারা কৃষক

  • সময় : বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৮৪

রাজাপুর উপজেলার শতশত হেক্টর জমির আমন ধান মাটিতে হেলে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। চরম দুশ্চিন্তা ও হতাশায় সময় পার করছেন কৃষকরা। এরপূর্বে রাজাপুরে সর্বত্র আমন ধানে খোলপচা ও পাতামোড়ানো রোগের আক্রমণ দেখা দেয়। ফসল রক্ষায় কীটনাশক দিয়েও তেমন উপকার পাচ্ছেন না কৃষকেরা। সেই সাথে রয়েছে ইঁদুরের উপদ্রবও। সবমিলিয়ে কৃষকরা এখন আমনের ফলন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দিন কাটাচ্ছে।

রাজাপুর সদর উপজেলার ছোটকৈবর্তখালী,  নারিকেল বাড়িয়া, শুক্তাগড়, কাঠিপাড়া, লেবুবুনিয়া, গালুয়া, পাড়গোপালপুর গ্রামে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। রাজাপুর উপজেলার ছোটকৈবর্তখালী গ্রামের কৃষক  হারুন মোল্লা জানান, একাধিকবার প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে ৪বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। প্রতিবছরের চেয়ে এবছর চাষাবাদে খরচও হয়েছে আড়াইগুণ। এতো অতিরিক্ত খরচ, তারপরেও শেষ সময়ে আমন বীজ ভালোই হয়েছিল। ভালো ফসলের আশায় ধানের জমিতে দেয়া হয়েছিলো পরিমাণমতো সারও। কিন্তু হাল্কা বাতাস হওয়ায় ধান মাটিতে হেলে পড়েছে।

এরপর যদি ভারী বর্ষণ এবং পানি বৃদ্ধি না হয় তাহলে ধানের ক্ষতি কম হবে। আর যদি আবহাওয়া খারাপ হয় তাহলে সব ধানই চিটা হয়ে যাবে। দরিদ্র কৃষকের এমন খরচের পরে যদি কাঙ্ক্ষিত ফলন না হয় তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা ও হতাশায় পড়েছেন কৃষক হারুন মোল্লা। শুক্তাগড় ইউনিয়নের ঘিগড়া গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী তালুকদার জানান, নয় কাঠা জমিতে আমনের আবাদ করেছি। বীজের চেহারা পরিবর্তনের সাথে সাথেই পাতামোড়া ও খোলপচা রোগ দেখা দিয়েছে। তিনি মরা ধানের ছোপা ও মোড়ানো পাতার ভেতরে পোকার অসংখ্য সাদা ডিম থেকে ছোট ছোট লম্বাকৃতির পোকা হয়ে ধানের পাতা মরে যাচ্ছিল।

কৃষি বিভাগ ও দোকানদারের পরামর্শে কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করায় পোকার দমন হয়েছে। কিন্তু এখন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে হাল্কা বাতাসের কারণে ধান মাটিতে লুটিয়ে (হেলে) পড়ায় মাথায় যেন ঠাডা (বজ্রপাত) পড়েছে। গ্রামের কৃষকরা জানায় দফায় দফায় বন্যা কাটিয়ে মূল খরচের চেয়ে অতিরিক্ত খরচ করে বীজ ফলাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। যখনই বীজ ভালো হয়ে উঠছিলো তখনই খেতে খোলপচা ও পাতামোড়ানো রোগ দেখা দেয়। উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক স্প্রে করায় কিছুটা পানোজ (চেহারার পরিবর্তন) ফিরছে। বীজে ধান আসতে শুরু করেছে। এমন সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে হাল্কা বাতাস হওয়ায় অধিকাংশ ফসলই মাটিতে হেলে পড়েছে। এখন কি করবো তা বুঝতেছি না।

জেলা কৃষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফজলুল হক জানান, এ বছর জেলায় ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। মৌসুমের শুরুতেই কয়েকদফা বন্যা, অতিবৃষ্টিতে বীজতলা নষ্ট, রোপণকৃত আমনের চারা পচে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিল।
চাহিদার চেয়েও এক হাজার হেক্টরে অতিরিক্ত বীজতলা এবং ১২০টি বেডে ভাসমান বীজতলা করায় বীজের সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। কোনো কোনো এলাকায় খোলপচা ও পাতামোড়ানো রোগ স্বল্পাকারে দেখা দিয়েছিলো, তা প্রতিরোধে কৃষকদের পরামর্শ দেয়ার মাধ্যমে প্রতিকার হয়েছে।


হাল্কা বাতাস হওয়ায় ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। এরপর যদি ভারী বর্ষণ এবং পানি বৃদ্ধি না হয় তাহলে ধানের ক্ষতি কম হবে। আর যদি আবহাওয়া খারাপ হয় তাহলে সব ধানই চিটা হয়ে যাবে। এ অবস্থায় যদি প্রণোদনা আসে তাহলে সুষম বণ্টন করে দেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪