বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন’র ডাকে সাড়া দিয়ে সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। যা গত ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে তারা শুরু করেছেন এবং তাদের বক্তব্য অনুযায়ী দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। সচেতন মহল মনে করেন করোনাকালীন সময়ে সাধারন মানুষ যদি স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে সেটা ব্যাহত হচ্ছে মড়ার উপর খাঁড়ার গাঁ হবে।
কারন তাদের সেবাগুলো একদম সাধারন মানুষের দৌরগোড়ায় পৌছে যায়। যার মধ্যে অন্যতম রয়েছে নবজাতক শিশুদের বিভিন্ন ধরনের টিকা প্রদান করা। পলিও,গুটিবসন্ত এর মতো ভয়াবহ মহামারী রোগগুলো বাংলাদেশ থেকে যে মূলে বিলুপ্ত হয়েছে তার পিছনে এই মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের অপরিসীম অবদান রয়েছে। তাই তাদের কর্মবিরতী যদি দীর্ঘ হয় তাহলে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের কর্মবিরতি ৫ম দিন অতিবাহিত করে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সাথে যোগযোগ করা হয়েছে,কিন্তু বিজ্ঞজনদের মতে যত দ্রুত সম্ভব তাদের যৌক্তিক দাবি গুলো মেনে নিয়ে তাদের কর্মবিরতি থেকে ফেরাতে হবে।
এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলার হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন’র সভাপতি মো. শামিম হাওলাদার জানান কর্তা ব্যক্তিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু বাস্তবায়নে কোন অগ্রগতি না থাকায় আমরা কর্মবিরতী পালন করতে বাধ্য হয়েছি।
আমরাও চাই না মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হোক। তাই সরকারের কাছে আহবান থাকবে যতদ্রুত সম্ভব আমাদের দাবি গুলো যেন মেনে নেওয়া হয়।