দীর্ঘ সময় ধরে কিটো ডায়েট মেনে চলা শরীরে ভয়ানক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। অনেক দিন ধরে এই ডায়েট মেনে চলা মানে অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া যা কিডনির উপরে চাপ ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত কিটো ডায়েট না করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬ মাসের বেশি কিটো ডায়েট মেনে চলা খুবই ক্ষতিকর। তাছাড়া ৬ মাসেও মাঝেমধ্যে এই ডায়েট থেকে বিরতি নেওয়া উচিত।
ভারতের নারায়ণা হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান পরমীত কৌর বলছেন, কিটো ডায়েট শুরু করলে তার ফলাফল আপনি এক সপ্তাহের মধ্যে পাবেন। খুব দ্রুত এই ডায়েট প্রভাব ফেলে শরীরে। শরীরে জমে থাকা ফ্যাট এমনভাবে কাজ করে যে কার্বহাইড্রেটের থেকে এনার্জি বেশি পরিমাণে তৈরি হয়।
তিনি আরও বলছেন, অনেকটা সময় ধরে ফ্যাট জাতীয় ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে কিডনির উপরে চাপ পড়ে। কিটো ডায়েট যারা মেনে চলেন তাদের মধ্যে লো প্রেশারের সমস্যাও দেখা যায়, যা পরবর্তীকালে হৃদরোগে পরিণত হতে পারে।
তিনি পরামর্শ দেন, যদি ওজন কমাতে হয় তাহলেই এই ডায়েট ফলো করুন। তবে তার আগে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সমীক্ষাতেও বলা হচ্ছে কিটো ডায়েটে বিভিন্ন ঝুঁকি তৈরি হয়।
কিডনি প্রোটিনের বিপাকে সাহায্য করে। কিটো ডায়েটের ফলে তাই কিডনির উপরেই চাপ পড়ে।
ভারতীয় চিকিৎসক সলিল জৈন বলছেন, কিটো ডায়েটে ফ্যাট ও প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকে। আর কার্বহাইড্রেট কম থাকে। রেড মিটের মতো খাবার বেশি মাত্রায় খেলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের পক্ষে আরও ক্ষতিকর কিটো ডায়েট।
সি-ফুড, মাছ, মাংস, ডিম, চিজ, নারকেল তেলসহ বিভিন্ন খাবার কিটো ডায়েটে রাখা হয়। এগুলির মধ্যে কার্বহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে। তাই ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে বলছেন চিকিৎসকরা।