ঢাকা বরিশাল রুটের বিলাসবহুল এমভি সুন্দরবন ১১ লঞ্চের ছাদে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ (১৭ নেভম্বর) মঙ্গলবার ভোর ছয়টার দিকে লাশ দেখতে পায় বলে দাবী করে লঞ্চস্টাফরা। যদিও ভোর সাড়ে তিনটার দিকে লঞ্চটি নৌবন্দরে এসে নোঙর করে।
বরিশাল নৌ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহত যুবকের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হচ্ছে। তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তার পেটে ও বুকে একাধিক ছুরির আঘাত রয়েছে। মূলত উপুর্যপরি ছুরিকাঘাতে তার পেটের ভূঁড়ি বেড়িয়ে গেছে।
বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত খুনি শনাক্ত করতে পারবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সুপারভাইজার সিরাজুল ইসলাম জানান, লঞ্চটি ঘাটে ভেরার পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভোর ৬টার দিকে লঞ্চ ধোয়া মোছার কাজ শুরু করে লঞ্চ স্টাফরা। এসময় তারা ছাদে এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তারা সুপারভাইজার ও সিকিউরিটিকে খবর দেন।
পরে নৌ পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। সিরাজুল ইসলামের দাবী, ছাদে মানুষ ওঠা নিষেধ। ওই ব্যক্তি কিভাবে ছাদে উঠলো জানা নেই। যদিও ছাদের স্টাফ কেবিন, ছাদে বিছানা পেতে বিক্রির অভিযোগ সুন্দরবন লঞ্চের বিরুদ্ধে খুব পুরােনা।