নগরী এবং সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম চরকাউয়া খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারের মূল্য নির্ধারণ করেছেন বরিশাল পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদ। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্র্যন্ত জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ৩টাকা এবং পরবর্তী রাত সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পাঁচ টাকা ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে। ইতিপূর্বে দুই সময়ে জনপ্রতি যাত্রীভাড়া নির্ধারণ ছিল ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত।
এর পাশাপাশি ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করার বিষয়েও চুক্তি হয়েছে। দিনে সর্বোচ্চ ১৮-২০ জন এবং রাতে সর্বোচ্চ ১০ জন যাত্রী ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে পারাপার করা যাবে। আর রিজার্ভ ট্রলারের ভাড়া সর্বোচ্চ ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এক মটরসাইকেল নিয়ে রিজার্ভ ৪০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। রোববার চরকাউয়া খেয়াঘাটে যাত্রী সাধারণের পক্ষে বরিশাল পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং চরকাউয়া মাঝিমাল্লা সমিতি’র সাথে ভাড়া নির্ধারণ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। রোববার অনুষ্ঠিত ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে আরও বেশ কিছু বিষয়ে চুক্তি এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি মোটরসাইকেল পারাপারে ৩০ টাকা এবং সাথে সর্বোচ্চ ৬ জন অতিরিক্ত যাত্রী ৩ টাকা হারে বহন করা যাবে। ইতিপূর্বে মোটরসাইকেল ৩০ টাকা সাথে ১০ জন অতিরিক্ত যাত্রী ২ টাকা হারে বহন করার নিয়ম ছিল। এছাড়া ২টি মোটরসাইকেলের ৬০ টাকা ভাড়া। তবে অতিরিক্ত কোন যাত্রী বহন করা যাবে না। মালামাল বহনের ক্ষেত্রে বর্তমান নিয়ম বহাল থাকবে। তবে কোন জুলুুম করা যাবে না। রাতের বেলা ট্রলারের সামনে এবং পিছনে দৃশ্যমান বাতির ব্যবস্থা করতে হবে।
দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে ধীর গতিতে, সাবধানে ট্রলার চালাতে হবে, নাবালক ও শিশুদের দ্বারা ট্রলার চালানো যাবে না। প্রতি ট্র্রলারে একজন দক্ষ চালক এবং একজন সহকারি চালক রাখতে হবে। বন্দর থানা, চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদ, পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদ ও মাঝিমাল্লার প্রতিনিধি সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে যা তিন মাস অন্তর মিটিং করতে হবে। যাত্রীদের সাথে সদাচরণ করার বিষয়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়।