বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলের ইন্টার্নী চিকিৎসকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে দুপুর সোয়া ১২টায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। দুই এক ঘন্টার মধ্যে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিবেন বলেও জানান পরিচালক। এদিকে গত চব্বিশ ঘন্টায় এই হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ২০ জন। বর্তমানে ভর্তি রোগির সংখ্যা রয়েছে ১৪’শ ৭ জন। গত ২১ অক্টোবর হাসপাতালের মেডিসিন-৪ ইউনিটের রেজিষ্ট্রার ডা. মাসুদ খান ইন্টার্ন চিকসকদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উল্লেখ করে তাকে মারধরের অভিযোগ আনেন পরিচালক বরাবরে।
অপরদিকে ৩০ অক্টোবর ডা. মাসুদ খান কোতোয়ালী থানায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নেতাদের নাম উল্লেখ করে মামলাও করেন। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছিলেন ডা. মাসুদ খান মেডিকেলের সামনের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেন এর বিরোধিতা করায় এমন ঘটনা। এরপর শনিবার বেলা ২টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন।
হাসপাতালে এমন অবস্থা বিরাজ করায় ভর্তিরত রোগিরা পড়েছেন বিপাকে। তাদের চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার জন্য হাসপাতালে কর্তব্যরত ৯০ চিকিৎসকের সাথে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের মাধ্যমে আরো ১০ জন চিকিৎসক দেয়া হয়েছে। তারপর ধর্মঘট শুরু আগের দিন যেখানে ১০ জন রোগির মৃত্যু হয়েছিল সেই সংখ্যা বেড়ে গেল চব্বিশ ঘন্টায় দ্বিগুন হয়ে ২০ রোগির মৃত্যু হয়েছে।
রোগিরা তাদের অসুবিধার কথা বললেও স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে নিষেধ করায় আজ গণমাধ্যমে কথা বলেননি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। তবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে বলেন, রোগিদেরর চিকিৎসা সুবিধার কথা বিবেচনায় এনে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, তাদের এই ধর্মঘটরে কারনে আমাদের অনেক বেঘাত পোহাতে হয়। তারা গেটের সামনে অবস্থানরত থাকাকালীন আমাদের আরোও বেশি কষ্ট হয়েছিল।