বরিশাল সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালকের শৌচাগারে মালামালের স্তুপ।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালকের শৌচাগারের ভেতরে-বাইরে সাদা বস্তার স্তুপ দেখা যায়। বরিশাল সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালকের শৌচাগারে খাদ্যসামগ্রী ও ভাতার বই মজুদ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সব সামগ্রী শৌচাগারে কেন ও কী উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালকের শৌচাগারটি সচল থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে না। এটির ভেতরে-বাইরে সাদা বস্তার স্তুপ। এর কয়েকটির গায়ে ‘আটা’ ও ‘ময়দা’ লেখা। আর কয়েকটিতে কাগজপত্র রয়েছে। এগুলো ভাতার বই বলে জানা যায়। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বরিশাল জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে প্রতিবন্ধীদের স্কুল, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রমসহ বিভিন্ন স্থানে খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়।
এ খাদ্যসামগ্রী মজুদ করার জায়গা আছে। তবে কেন এগুলো শৌচাগারে স্তূপ করা হয়েছে তা তার বোধগম্য নয়। শৌচাগারে ভাতার বই মজুদ করার বিষয়টি স্বীকার করে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল মামুন তালুকদার বলেন, এখানে জায়গার সংকট। তাই শৌচাগারে মালামাল রাখেন। সেখানে খাদ্য মজুদ করা হয়নি বলে উপপরিচালক দাবি করেন।
বরিশালের গবেষক ও সাংবাদিক আনিসুর রহমান খান স্বপন বলেন,
ওই কার্যালয়ে জায়গার কোনো সংকট নেই। তাই শৌচাগারে খাদ্যসামগ্রী বা বই যেটাই রাখুক তা অস্বাভাবিক। এগুলো সৎ উদ্দেশ্যে রাখা হয়নি।
জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, ‘শৌচাগারে খাদ্যসামগ্রী বা ভাতার বই রাখার প্রশ্নই আসে না। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’