তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬৪ তম জন্মবার্ষিকী আজ।বাংলাদেশের কবিতায় অবিস্মরণীয় এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে অকাল প্রয়ান হয় এই কবির।কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে মোংলায় মিঠাখালীতে কবির গ্রামের বাড়িতে মোংলা সাহিত্য পরিষদ,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে শোভাযাত্রা,
কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা,মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।এছাড়া বিকালে মিঠাখালী ফুটবল মাঠে এক প্রীতি ফুটবল খেলা ও সন্ধ্যায় রুদ্র স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। স্মরণসভা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি ও রুদ্রের গান পরিবেশিত হবে।
এছাড়াও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা সাহিত্য পরিষদ,মোংলা স্টুডেন্টস ক্যাটারস,তারুণ্য মোংলা সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেছে।মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) জীবনে কবি রুদ্র সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প,কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা করেছেন।
পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির কাছ থেকে ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য‘সংস্কৃতি সংসদ’থেকে পরপর দু’বছর মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।