নারীরা যখন যেখানেই যাক সেখানেই তাদের নিরাপদ রাখতে হবে। কোনো নারী বা মেয়ে যেখানেই হয়রানির শিকার হবে সেখানেই সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে এবং এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিআরআইর ট্রাস্টি ও কো-চেয়ারম্যান এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল। বুধবার (১৪ অক্টোবর) ‘পাবলিক প্লেসে নারীর নিরাপত্তা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক এক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা বলেন।
ক্যাম্পেইনটি শুরু করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)। মূলত সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তারা এ প্রচার কাজ শুরু করেছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, নারীদের সম্মান করতে হবে। সম্মান দেয়া শিখতে হবে। নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করা যাবে না। গত ৩০ বছর ধর্ম ও বিভিন্ন ইস্যুকে ব্যবহার করে নারীদের ছোট করা হচ্ছে যেমনটা আগে হতো না। নারীরা এখন বাড়ি কিংবা বাসা সবখানে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে। তারা কোথায় যাবে, কখন যাবে, তাদের পোশাক-চলাফেরা সবকিছু নিয়েই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এসবকে নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপন করে নারীদের দোষ দেয়া হচ্ছে। এটা উচিত নয়।
তিনি আরো বলেন, নারীদের অনেক সময় পরিবারের হাল ধরতে হয়। নানা ক্ষেত্রে নানা স্থানে চাকরি করতে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা কোনো ইস্যু হওয়া উচিত নয়। সব স্থান নারীর জন্য নিরাপদ হতে হবে। কেনো চাকরি করবে, কি দরকার চাকরি করার এমন প্রশ্ন তোলাই ঠিক নয়। সায়মা ওয়াজেদ বলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। তাই এ দেশের নারীদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে। তারা যেখানেই যাক সেখানেই তাদের নিরাপদ রাখতে হবে। কোনো নারী বা মেয়ে যেখানেই হয়রানির শিকার হবে সেখানেই সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকটা ঘর থেকে এ শিক্ষা দেয়াটা শুরু করতে হবে।
ইউএনডিপি ও এনএইচআরসি’র সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ইয়াং বাংলার এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনীতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম, নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং আইজিপি বেনজির আহমেদসহ ইয়াং বাংলা ও ইউএনডিপির তরুণ প্রতিনিধিরা।
নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কাজ করে যাচ্ছে ইয়াং বাংলা। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইউএনডিপি’র মানবাধিকার প্রোগ্রামের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নারীর নিরাপত্তা ও নারী ক্ষমতায়নে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তরুণদের এই সংগঠনটি। যার অংশ হিসেবে পরিচালনা করা হচ্ছে এই ক্যাম্পেইন।
নারীর ওপর নির্যাতন, যৌন নির্যাতন এবং হয়রানি বন্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় ইয়াং বাংলা।