1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন

পদ্মা লাইফ ইন্স্যুঃ কোঃ লিঃ নবীনগর শাখার শতশত গ্রাহকদের সাথে প্রতারনার অভিযোগ

  • সময় : শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩০২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পদ্মা লাইফ ইন্স্যুঃ কোঃ লিঃ নবীনগর শাখার শতশত গ্রাহকদের সাথে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার দুপুরে নবীনগর পৌর এলাকার ঋষি সম্প্রদারের শতাধিক মানুষ তাদের বীমার পাওনা টাকা আদায়ের দাবীতে নবীনগর সদর পদ্মা লাইফ ইন্সুরেন্স শাখার অফিস ঘেরাও
করেন।এসময় তারা জানান, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুঃ কোঃ লিঃ নবীনগর শাখার মাঠ কর্মি মনোয়ারা বেগমের কাছে গত ১০ বছর যাবৎ মাসের পর মাস বীমা করে এখানে
টাকা জমিয়ে দুই বছর ধরে তাদের পিছু পিছু ঘুরতেছি। বীমা করানোর সময় পদ্মা লাইফ ইন্স্যুঃ কোঃ লিঃ নবীনগর শাখার জোনাল অফিসার মো.নজরুল ইসলাম ও মাঠ কর্মি মনোয়রা আমাদের বাড়ী বাড়ী যেতেন। এখন যখন বীমার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে,এখন টাকার জন্য তাদের পিছু পিছু ঘুরি ।

তারা তারিখের পর তারিখ দেয় টাকা দেয়না। করোনার আগে আমাদের মধ্যে কিছু মানুষে কাছ থেকে বীমার দলীল সহ জন প্রতি ১ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে টাকা দেওয়ার খরচের কথা বলে। এ বিষয়ে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুঃ কোঃ লিঃ নবীনগর শাখার জোনাল অফিসার মো.নজরুল ইসলাম জানান, যাদের দলিল আছে তাদের টাকা দেওয়া হবে। করোনার কারনে দেশের সার্বিক পরিস্থীতি খারাপ যাচ্ছে আমাদের বীমা ব্যবসাও
খারাপ অবস্থা।তাছারা তারা যার কাছে টাকা দিয়েছেন তিনি হলেণ মনোয়ারা বেগম। তিনি আগে এখানে কাজ করতো।তার লেনদেনে সমস্যা থাকায় তাকে অফিস চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন।

মাঠ কর্মি মনোয়ারা বেগম জানান, আমি এখন পদ্মা লাইফে কাজ করিনা।আমি কাজ করার সময় সব কিছু সঠিক ভাবে জমা দিয়েছি।তাদের কাছে সব আছে তবু তারা গ্রাহকের টাকা দেয়না। আমি এখন অসুস্থ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই অফিসের এক স্টাফ জানান, নবীনগর উপজেলার শতশত মানুষের প্রায় ৫১ লাখ টাকার উপরে বীমার টাকা অফিস অটকে রেখেছেন। এ বিষয়ে উধ্র্ধতন কতর্ৃপক্ষকে বললে তারা বলেন,ব্যাবসা দাও টাকা নেও।তার মানে হলো নতুন গ্রাহকদের বীমা করালে তারা পুরাতন গ্রাহকদের টাকা পরিষদ করে দিবেন। কিন্তু মানুষ এখন বীমা করতে চায় না।নবীনগর পৌরসভার মেয়র এড. শিব শংকর দাস বলেন, সরকার কতর্ৃক স্বীকৃত ভোলাচং ঋষি পাড়ার দলিত হরিজন সম্প্রদায়ের শত শত মানুষের
জমানো কষ্টের বীমার টাকা নিয়ে যারার ছিনিমিনি খেলে তারা আসলে কেমন মানুষ।

তারা লেবারী করে জুতা সেলাই করে অর্থ উপার্জন করেন। তাদের টাকার হেরফের হলে কঠিন মূল দিতে হবে।নবীনগর থানার এস আই মো. আজিজ বলেন , এখানে বীমা করা এই দলিত হরিজন সম্প্রদারের লিষ্ট করা হচ্ছে। একটি টাকাও হেরফের করলে তাদের
আইিনের আওতায় আনা হবে।এসময় ভোলাচং ঋষি পাড়ার দলিত হরিজন সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ তাদের বীমার পাওনা টাকা পাওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪