দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মশাল মিছিল ও ধর্ষকের প্রতীকী কুশপুত্তলিকা প্রদাহ করেছে শিক্ষার্থীরা। মশাল মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ ঘরে বাইরে কোথায়ও নারী নিরাপদ নয়।নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আজ ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা প্রদাহের মাধ্যমে ধর্ষকের চূড়ান্ত অবমাননা করা হয়েছে এবং মশাল মিছিলের মাধ্যমে জনগণকে সম্পৃক্ত করা এবং সারাদেশে চলমান ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো হয়েছে।
ধর্ষণের মামলাগুলোর দ্রুত বিচারকার্য সম্পন্ন করার জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে যা ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচারকার্য সম্পন্ন করবে। ধর্ষণের সাথে সরাসরি যুক্ত ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তুি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। এছাড়াও ধর্ষণে সহায়তাকারী, তদন্তে অনিয়মকারী, শালিসের মাধ্যমে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপাকারিদের যাবতজীবন কারাদণ্ড দিতে হবে। ধর্ষণের শিকার নারীকে সমাজে হেয়প্রতিপন্নকারীকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নারী যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার হলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয়কে নিতে হবে,তাদেরকে যাবতীয় চিকিৎসা খরচ দিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন পুরুষের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অভিযোগ উঠলে সাথে সাথে বহিস্কার করতে হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে চিরস্থায়ী বহিস্কার করতে হবে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও সিলেটের এমসি কলেজে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে,
আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাঁরা। তারই অংশ হিসেবে পরদিন প্রদীপ প্রোজ্জ্বলন, বৃহস্পতিবার ধর্ষকের প্রতীকী ফাঁসি কার্যকরের মত কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।