রংপুর সদর উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিও সাতজন প্রার্থী সহ মোট ১শ” ৯৭ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে। রংপুর সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারও রির্টানিং অফিসার মোঃ রেজাউল করিম গত কাল সন্ধা সাড়ে সাতটায় জানান,চেয়ারম্যানপদে ১৬জন,
সংরক্ষিত আসনে ৫০জনও সাধারন সদস্য আসনে ১৩১জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তিনটি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ ও জাপার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লাড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউনিয়নগুলো হলো জেলা সদরের সদ্যপুষ্করিনী, হরিদেবপুর ও চন্দনপাট। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী স্থগিত হয়ে থাকা ওই তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২০ অক্টোবর।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত কাল ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার মনোনয়নপত্র বাছাই, ৩ অক্টোবর শনিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ দিকে রংপুর সদর উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। তারা হলেন, সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়নে মোকছেদুল রহমান, চন্দনপাট ইউনয়নে আমিনুর রহমান ও হরিদেবপুর ইউনিয়নে একরামুল হক। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা হলেন,
চন্দনপাট ইউনিয়নে রুহুল আমীন লিটন, হরিদেবপুর ইউনিয়নে মফিদুল ইসলাম ও সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়নে ফুল বাবুকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তবে বিএনপি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি।
দলীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের প্রার্থী নির্ধারণের সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এদিকে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছেন।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে প্রার্থিতা বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম, রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, আপিল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ, নির্বাচনকে ঘিরে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখা,
প্রার্থীদের মনোনয়নের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে অবহিতকরণ, প্রতীক বরাদ্দের প্রত্যয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে চিঠি প্রেরণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

রংপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, রংপুর সদরের এই তিন ইউনিয়নের মেয়াদ কয়েক মাস আগে উত্তীর্ণ হয়েছে। করোনার কারণে তফসীল ঘোষণায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।