ব্রুনাইতে চাকরি দেয়া হবে। স্বপ্ন দেখিয়ে ৪শ’ জনের কাছ থেকে মোটা অংকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। সেই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এনএসআই ও র্যাব। বুধবার বিকালে র্যাব-৩ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিজের রিক্রুটিং এজেন্সি না থাকলেও বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠাতো গ্রেপ্তার আমিনুর রহমান অপু।
ব্রুনাইতে মানব পাচারের মূল হোতা ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের মূল সহযোগী হিসাবে কাজ করতো অপু। ব্রুনাই, এশিয়া মহাদেশের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র। ২০১৫ সালের দিকে বাংলাদেশের কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করলেও বর্তমানের সেইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাই কাজের সুযোগ একেবারেই কমে এসেছে। সরকারি কয়েক সংস্থার তথ্য বলছে, ব্রুনাইতে প্রায় ৩ হাজার নাম স্বর্বস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
কাগজে কলমে তা প্রকাশ করেই দালালরা সাধারণ মানুষেকে ফাদে ফেলে। ব্রুনাইতে মানব পাচার করেন এমন একটি দলের তিন সদস্যকে বুধবার রাজধানীর কাফরুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও এনএসআই-এর যৌথ দল। র্যাব বলছে, এই চক্রটি ব্রুনাইতে চাকরি দেয়ার নামে ৪শ মানুষের কাছে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই চক্রটির প্রতারনার শিকার অনেকেআসেন সংবাদ সম্মেলনে।
জানান ব্রুনাই পাঠানোর নামে, কারও কাছে আড়াই লাখ কারও কাছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। র্যাব বলছে, প্রতারিত হয়ে অপু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যারা ব্রুনাইতে গেছে তাদের কাউকেই চাকরি দিতে পারেন নি। কয়েকদিন অমানবিক জীবনযাপন করে উল্টো নিজ খরচে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।