তরমুজের ভেতরের অংশ লাল থাকে। তবে এবার উদ্ভাবিত হলো ভেতরে হলুদ রঙয়ের তরমুজ। তরমুজের এই জাতটিসহ দুটি জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানিরা।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বারির প্রটোকল অফিসার মো. আল-আমিন রাইজিংবিডিকে এ সব তথ্য জানিয়েছেন।
উদ্ভাবিত দুই জাতের তরমুজের ফলন, আকৃতি, স্বাদ প্রচলিত জাপানি শংকর জাতের চেয়ে উন্নততর। এই দুটি জাত থেকে কৃষক নিজেরাই বীজ উৎপাদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আল-আমিন।
তিনি জানান, বারির সবজি বিভাগ এবং পটুয়াখালীর লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এই দুটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। শিগগিরই নিবন্ধনের মাধ্যমে তা কৃষকের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম আজ (সোমবার) এই দুটি জাতের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম,
সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসী ইসলাম, জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানিরা উপস্থিত ছিলেন।
জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বারির বিজ্ঞানিদের বরাত দিয়ে প্রটোকল অফিসার আল-আমিন বলেন, বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে যে সব উন্নতমানের তরমুজ পাওয়া যায়, এর প্রায় সবই জাপান বা অন্যান্য দেশ যেমন- চীন, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে আমদানিকৃত শংকর জাতের বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়।
ফলে তরমুজের বীজ আমদানি বাবদ প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। এছাড়া এসব জাতের বীজের বিশুদ্ধতা ও অঙ্কুরোদগম হার সব সময় ঠিক না থাকায় কৃষক প্রতারিত হন। কিন্তু বারি উদ্ভাবিত জাত দুটি থেকে কৃষক নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবে।
তিনি জানান, এই জাত দুটি বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী অমৌসুমি জাত হওয়ায় কৃষক অধিক লাভবান হতে পারবেন।