সমসাময়িক সময়ে নারায়ণগঞ্জে ঘটে যাওয়া মসজিদে এসি বিস্ফোরণ আমাদের সবার বিবেক কে একটু হলেও নাড়া দিয়ে গেছে। এমনি অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ, গ্যাসের লাইন রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
তেমনি বরিশালের কাশিপুরে খোদ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনেই রয়েছে এরকম একটি অপরিকল্পিত হাই ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন যা মসজিদের উপর দিয়ে নেয়া হয়েছে। বিভিন্নভাবে মুসল্লীরা এর প্রতিবাদ করলেও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছেন না।
অবশেষে বাধ্য হয়ে মুসল্লীরা এই লাইন অপসারণের জন্য মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে মসজিদের খতীব আলহাজ্ব হাফেজ মাওঃ শাইখ হাসনাইন মাহমুদ ছিদ্দিকী বলেন-“মুসল্লীদের জীবনের দিকে তাকিয়ে এই ভয়ানক বিপদজনক তার সড়ানো খুবই জরুরি, আমার সহকারী ইমাম ও মুসল্লীরা আহত হয়েছে। এখনও যদি তারের খুঁটি অপসারণ করা না হয় তাহলে বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটে গেলে তখন আফসোস করে কি লাভ?
মসজিদের মুতাওয়ল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মোয়াজ্জেম হোসেন কামাল মুন্সি বলেন- “আমাদের ওয়াকফকৃত জমিতে মসজিদ। এখানে তারের খুঁটি সরানোর জন্য বহুত চেষ্টা করতে করতে অবশেষে আমার ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন জহির মুন্সী দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। এখন আমি বেঁচে থাকতে অন্তত এর সমাধান দেখে যাওয়ার আশা করি।”
মসজিদের সভাপতি আলহাজ্ব আবু হানিফ বলেন -“আমার পূর্বের সভাপতির মৃত্যু হয়ে গেছে কিন্তু তার সরালোনা, আর কত আর্তনাদ করলে আমাদের জীবনের ঝুঁকিথেকে নিরাপত্তা পাব?” বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে যেকোনো মুহূর্তে!
বরিশাল বিভাগীয় সদর দপ্তর ডিআইজি রেঞ্জ সম্মুখে কাশীপুর বাইতুন নুর জামে মসজিদে হাইভোল্টেজের তারের নিচে ভয়ানক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত মুসল্লী নামাজ আদায় করতে হচ্ছে।
মসজিদের উপরে পিডিবির তার এবং মসজিদের দেয়াল ও ওজুখানার মধ্যে মসজিদের জায়গায় একাধিক বিদ্যুৎ খুঁটি থাকায় মসজিদটির কোন সংস্কার বা উন্নয়ন মূলক কাজ করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎের ভোল্টেজ আপডাউনের সময় মাঝে মধ্যে বিস্ফোরিত হয়ে উপর থেকে আগুনের ফুলকি পড়ে এবং বিদ্যুৎ সরঞ্জামাদি ভেঙে পড়ে ইমাম মুয়াজ্জিন ও মুসল্লীগন অনেকবার আহত হয়েছেন।
তাই বড় কোন বিপর্যয় হওয়ার আগেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় মুসল্লীরা। সেক্রেটারি সহ অন্যান্য সকলের বক্তব্যেই মসজিদের উপর থেকে তার এবং খুটি সরিয়ে ভয়ানক বিপদ থেকে মুসল্লীদের বাঁচানোর আকুতি জানানো হয়